আলটিমেটামে হয়নি কাজ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য এর আগে একাধিকবার আন্দোলনরত কৃষকদের তরফে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এমনকী বৈঠকও হয় বেশ কয়েক দফায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমতবস্থায় ফের আন্দলোনরে তেজ বাড়াতে প্রতিবাদী কৃষকদের ট্রাক্টর নিয়ে প্রস্তত থাকতে বললেন এই জনপ্রিয় কৃষক নেতা।
ভয় ধরাচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবসের স্মৃতি
প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, কৃষি আইনের প্রতিবাদে চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস বিশালাকার ট্রাক্টর ব়্যালি করে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। এমনকী লালকেল্লার সামেন আন্দোলনের আঁচ এসে পড়তেই ছড়ায় উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের পাশাপাশি দেশের সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে কৃষকদের বিরুদ্ধে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয় গোট দেশজুড়েই।
টুইটারে কী লিখলেন রাকেশ টিকাইত
এমতাবস্থায় ফের রাকেশ টিকাইতের তরফে ট্রাক্টর নিয়ে তৈরি হওয়ার বার্তা এলে স্বভাবতই তা চিন্তিত প্রশাসন। এদিন রাকেশ টিকাইত তার অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে টুইটারে পোস্ট করেছেন, "এই সরকার কিছুতেই মানছে না আমাদের দাবি। চিকিৎসা। কৃষকরা, আপনার ট্রাক্টর নিয়ে প্রস্তুত হোন, আমাদের জমি বাঁচানোর জন্য আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে।"
মিথ্যা মামলা দিয়ে দমানো যাবে না কৃষকদের
পাশাপাশি আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কোনোভাবেই তাদের দমানো যাবে বলেও সাফ জানান এই বিকেইউ নেতা। গত বছরের নভেম্বরের শেষার্ধ থেকে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবির পাশাপাশি ২২টি কৃষি পণ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন প্রতিবাদী কৃষকের দল। এদিকে ইতিমধ্যেই একাধিক খরিফ ফসলে ৫০ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশ ন্যূনতম সহায়ক মূ্ল্য বা এমএসপি বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র।