সম্প্রতি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল সরকার৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর আগামী সোমবার ক্যাওড়া তলা মহাশ্মশানে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি মালা দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিষয়টি নিয়ে বঙ্গ-বিজেপি নেতা সমালোচনা মিশ্রিত প্রশংসা করেছেন৷ বেশিরভাগ বিজেপি নেতার সাফ কথা অনেক দেরি হয়ে গেল!
TMC-র শ্যামাপ্রসাদ মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা নিয়ে ওয়ানইন্ডিয়া বাংলাকে শিশিরবাবু বলেন, 'আমি খুশি এতদিন পরে হলেও তৃণমূলের বোধদয় হয়েছে৷ তবে এটাও মনে রাখতে হবে এই সরকারের আমলেই কিন্তু যাদবপুরে শ্যমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভেঙে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে আমরা সপ সময় ওখানে গেলে আমাদের পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে৷ শ্যামাপ্রসাদ শক্তিশালী পশ্চিমবঙ্গ ও একত্রিত দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন৷ এখন সল্টলেকে রোহিঙ্গা বস্তির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে৷ অন্য দেশ থেকেোক এনে ভোট করানো হচ্ছে৷ এগুলো শ্যামাপ্রসাদের আদর্শ বিরোধী। অবশ্য তৃণমূল দলটারই কোনও আদর্শ নেই৷'
বঙ্গ-বিজেপির আর এক শীর্ষ নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়ানইন্ডিয়া বাংলাকে বলেন, 'এতদিনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে মনে পড়ল! দেরিতে হলেও বোধদয়, তবে এটা ওরা কতটা মন থেকে করছে আর কতটা প্রচারের উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে সেটা ওরাই জানে। ডঃ শ্যামাপ্রসাদের আদর্শ মেনে চললে না রোহিঙ্গাদের তুলে এনে বসাত, না বাইরে থেকে অনুপ্রবেশ হতে দিত।'
ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বিজেপি দলের প্রতিষ্ঠাতা মনে করেন কর্মী-সমর্থক-নেতারা। শ্যামাপ্রসাদের হাতে তৈরি জনসংঘ পরে জনতা পার্টি এবং আারও পরে বিজেপির আকার নিয়েছে। আবার বাংলার মানুষের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পরে স্বাধীন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি রাজনৈতিক মুখ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর তরফে থাকা বাঙালি অস্মিতাকে আরও একটু শক্তি দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিম। এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।