রোম: মেঘের উপর দিয়ে হাঁটছে ‘আজুরি’রা৷ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের পর ইউরো কাপেও স্বপ্নের যাত্রা অব্যাহত রবের্তো মানচিনির ইতালির৷ রবিবার ওয়েলসকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই ইউরো কাপের নক-আউটে পৌঁছল চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা৷ সেই সঙ্গে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ৮২ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করল ইতালি৷

নক-আউটের টিকিট আগেই পেয়ে যাওয়ায় ওয়েলসের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে দলে ঢালাও পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ মানচিনি। তবে ইতালির পারফরম্যান্সে তা তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। ওয়েলসের বিপক্ষেও আধিপত্য ধরে রেখে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিল রবের্তো মানচিনির দল। রোমের স্তাদিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ওয়েলসকে ১-০ গোলে হারায় ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দলে খেলে হারলেও নক-আউটের টিকিট জোগার করে নেয় ওয়েলস৷

২০১৮ বিশ্বকাপে যোগ্যতাঅর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর এটাই ইতালির সেরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স৷ ওয়েলসকে হারিয়ে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার সর্বকালীন রেকর্ড স্পর্শ করল মানচিনির দল৷ ৮২ বছর আগে শেষবার টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত ছিল ইতালি৷ সেটা ছিল ভিক্টোরিও পজ্জোর কোচিংয়ে ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেনি ইতালি৷ এই সময়ের ব্যবধানে টানা দু’বার বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি ১৯৩৬ সালে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন ‘আজুরি’রা৷

ওয়েলসের বিরুদ্ধে ইতালির জয়ের নায়ক মাত্তেও পেস্সিনা। এ মাসের শুরুতে ইউরো খেলারই কথা ছিল না। মানচিনির প্রথম ঘোষিত দলে ছিলেন না তিনি৷ কিন্তু মিড-ফিল্ডার স্তেফানো সেন্সির চোটের কারণে ডাক পান ২৪ বছর বয়সি এই ফুটবলারে। তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে তা কাজে লাগালেন পেস্সিনা।

তিন ম্যাচের সবক’টি জেতায় ইতালির পয়েন্ট ৯। সুইজারল্যান্ডের সমান ৪ পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে গ্রুপ রানার্স ওয়েলস। তিন ম্যচের সবকটি হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তুরস্ক। মানচিনির কোচিংয়ে যেন অজেয় হয়ে উঠেছে ইতালি। ২০১৮ সালে নেশন্স লিগে পর্তুগালের বিপক্ষে হারের পর কোনও ম্যাচ হারেনি ইতালি।

২৭ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ওয়েলস৷ কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি গ্যারেথ বেলরা৷ একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ইতালির গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ৩৯ মিনিটে। মার্কো ভেরাত্তির নেওয়া নিচু ফ্রি-কিকে দারুণ ফ্লিকে দলকে এগিয়ে নেন পেস্সিনা। ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি৷ ৭৫ মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও উড়িয়ে মারে বেল। ম্যাচের শেষটা তাতে হতাশার হলেও নক-আউট পর্বে ওঠে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন বেল-র‌্যামজিরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.