প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ডের ওপরে ভরসা
মধ্য তিনবছর নয় মাস। মুকুল রায় গিয়েছিলেন বিজেপি। সেই সময়ের মধ্যে মুকুল রায় উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সংগঠনে ভাঙন ধরিয়েছিলেন। যুব সংগঠনে বিক্ষুব্ধ নিশীথ প্রামাণিককে বিজেপি নিয়ে গিয়েছিলেন। তালিকায় এরকম আরও অনেক রয়েছে। আর তৃণমূলে ফেরার পরে সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায় নিশীথ প্রামাণিক-সহ বিজেপিতে থাকা অনুগতদের ফোন করেছিলেন ফিরে যেতে। যদিও তাঁরা কী উত্তর দিয়েছেন এখনও পরিষ্কার নয়। বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গে বড় সাফল্য আসলেও, উত্তরবঙ্গে তা আসেনি। ফলে এবার সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবির। সেখানে ভরসা মুকুল রায়।
উত্তরবঙ্গই মাথা ব্যথা মমতার
তৃণমূল দাবি করে থাকে গত ১০ বছরে উন্নয়ন হয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। সব প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট, জল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কোনও কিছুতেই কম কিছু করা হয়নি উত্তরবঙ্গের জন্য। দাবি করে থাকে তৃণমূল। এমন কী উত্তরবঙ্গের মানুষের মন পেতে সেখানে সচিবালয়ও তৈরি করা হয়। সেই উত্তরবঙ্গকেই কিনা আলাদা করার পরিকল্পনা! যদিও বিজেপির দাবি উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের দাবি মিথ্যা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে এবার সংগঠনকে শক্তিশালী করার পথে এগোচ্ছেন মুকুল রায়।
বিজেপিতে বড় ভাঙন
বিধানসভা নির্বাচনের পরে উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে বড় ভাঙন। এদিন কলকাতায় এসে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিতে চলেছে বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। তাঁকে অনুসরণ করতে চলেছেন আরও ছয় পদাধিকারী। সবাই ইতিমধ্যে বিজেপির পদে ইস্তফা দিয়েছেন। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার বঙ্গভঙ্গ ডাকের মধ্যে প্রভাবশালী নেতার পদত্যাগে যে বিজেপির সংগঠনে পড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আলিপুরদুয়ারের সবকটি আসন পেয়েছিল বিজেপি।
বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ফলাফল
উত্তরবঙ্গে আসন রয়েছে ৫৪টি। এবার এই ৫৪ টি আসনের মধ্যে এখন বিজেপির দখলে রয়েছে ২৯ টি আর তৃণমূলের দখলে ২৫ টি। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দখল করেছিল ৩৬ টি আসন। আসন সংখ্যার নিরিখে আটটি আসনের মধ্যে সাতটি দখল করেছিল বিজেপি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে ভাল ফল করেছে।