বেশ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড মৃত্যুর সংখ্য এক ধাক্কায় তিন চার গুণ বেড়েছে পুর্নগণনায়। ভারতে সরকারি ভাবে প্রকাশিত করোনায় মৃতের সংখ্যার থেকে আসলে কোভিডে মৃত্য প্রায় ৭গুল বেশি বলে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। এরপর কোভিড মৃত্যুর রিপোর্ট দেওয়ার পদ্ধতিকে আরও সরল করতে বলল সুপ্রিমকোর্ট। সম্প্রতি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দেওয়া হলফনামায় জানানো হয়েছিল কেউ করোনায় মারা গেলে তার ডেথ সার্টিফিকেট কোভিডে মৃত্যুই লেখা হবে৷ তাতে রোগীর কোনও কোমরবিডিটি ছিল কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়৷
কী বলছে সুপ্রিমকোর্ট?
কেন্দ্রের এই হলফনামা পাওয়ার পরই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এমআর শাহ কেন্দ্রে পক্ষের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, 'আর যে রোগী ইতিমধ্যেই কোভিডে মারা গিয়েছেন এবং তার পরিবারকে রোগীর কোমরবিডিটি এবং অন্য রোগের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তাদের জন্য কি ব্যবস্থা রয়েছে? এর পর বিচারপরতি শাহ আরও যোগ করেন, কোভিডে মৃত রোগীর পরিবার যাতে সহজেই রোগীর সঠিক ডেথসার্টিফিকেট পায় তার জন্য এই পুরো ব্যবস্থা আরও সরল করার প্রয়োজন রয়েছে৷ প্রত্যেকের এটা জানার অধিকার রয়েছে যে রোগী কিসে মারা গেলেন। এবংমএই সঠিক রেকর্ডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷
কী বলা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে?
সম্প্রতি প্রত্যেক কোভিড মৃতের পরিবারকে ৪লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ কোর্টের সেই বক্তব্যের উত্তরে একটি হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। যেখানে এত বড় সংখ্যায় সারা দেশের কোভিড মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়। পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বলা হয় দেশের শাসন ব্যবস্থায় নাক না গলাতে৷ একই সঙ্গে হলফনামায় জানানো হয়েছিল দেশে সমস্ত কোভিড মৃতদের ডেথসার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনায় লেখা হবে। কোনও অন্য বিষয় নয়। যে চিকিৎসকরা এই নিয়ম মানবে না তাঁরা শাস্তির আওতায় পড়বেন৷
নয়া ভ্যাকসিন নীতির প্রথম দিনই বাজিমাত, দেশে ৬৯ লক্ষের বেশি টিকাকরণ হয়েছে