আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা ২১৭ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডকে শুরুর ধাক্কা দিতে ব্যর্থ হলেন ভারতীয় বোলররা। একমাত্র মহম্মদ শামি ছাড়া বাকি ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে সহজেই রান করলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার। তৃতীয় দিনের পানের বিরতি পর্যন্ত কিউয়ি শিবিরের স্কোর বিনা উইকেটে ৩৬।
মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, ইশান্ত শর্মাদের শুরুর চ্যালেঞ্জ দুর্দান্তভাবে সামলালেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট ম্যাচেই শতরান করা ডেভন কনওয়ে ৫৬ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। তিনটি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৭০ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন টম লাথাম। একটি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ম্যাচে কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের উইকেট নিতে যে ভারতীয় বোলারদের বেশ ভালই কসরৎ করতে হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে।
ম্যাচের শুরুটা কিন্তু ভালই করেছিল ভারত। ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের মধ্যে অর্ধশতরান পার্টনারশিপও হয়েছিল। তবে জ্বলে উঠতে পারেননি চেতেশ্বর পূাজারা। বিরাট কোহলি ও অজিঙ্ক রাহানের মধ্যে ৬১ রানের পার্টনারশিপ হয়। তবে রবিবার সকালেই কাইল জেমিসনের শিকার হন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। ১৩২ বলে ৪৪ রান করেন বিরাট। ৪৯ রান করে সাজঘরে ফিরে গিয়ে ভারতের কাজ আরও কঠিন করে দেন অজিঙ্ক রাহানে। এরপর থেকেই ভারতের ব্যাটিং বিভাগে ধস নেমে যায়।
ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন ঋষভ পন্থও। ২২ বলে মাত্র ৪ রান করে তিনি আউট হন। রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের ধীরে ধীরে একটা পার্টনারশিপ তৈরি হতে দেখে আশ্বস্ত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। কিন্তু সেই অশ্বিনকেও (২২) ফিরিয়ে দেন বিধ্বংসী জেমিসন। ১৬ বল খেলে ৪ রান করে আউট হন ইশান্ত শর্মা। রানের খাতা খুলতে পারেননি জসপ্রীত বুমরাহ। ১৫ রান করে আউট হন রবীন্দ্র জাদেজা। কলিন দে গ্র্যান্ডহোম ছাড়া উইকেট পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সব ফাস্ট বোলার। ৫ উইকেট নিয়েছেন কাইল জেমিসন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও নেইল ওয়াগনার। ১ উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি।