আশঙ্কা করা হচ্ছে অক্টোবরেই আগে দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় পর্যায়ের ঢেউ। কিন্তু তার আগে দেশের বর্তমান কোভিড গ্রাফ স্বস্তি দিচ্ছে সকলকেই। এমনকী গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গেল ৬০ হাজারের নীচে। মারা গেছেন দেড় হাজারের কিছু বেশি মানুষ। সেই সঙ্গে দিল্লিতে করোনার কবলে পড়লেন মাত্র ১২৪ জন। যা গত চার মাসে সর্বনিম্ন।
পরিসংখ্যান বলছে এর আগে ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখ দিল্লিতে করোনার কবলে পড়েছেন ৯৭ জন। যা চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন। সেই রেকর্জ না ভাঙলেও গতকালের নতুন পরিসংখ্যানে স্বস্তি রাজধানীর স্বাস্থ্য মহলের আধিকারিকেরাও। অন্যদিকে এই নিয়ে পর পর দুদিন দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ১৫০-র নীচে।
যদিও গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিল্লির করোনা সংক্রমণ ক্রমেই নিম্নমুখী হয়েছে। শনিবার দিল্লিতে করোনার কবলে পড়েন ১৩৫ জন। তারপর রবিবার আক্রান্ত হলেন ১২৪ জন। অন্যদিকে গোটা রাজ্যে বর্তমানে পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ০.১৭ শতাংশ। পাশাপাশি সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৮.১১ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে রাজধানী সক্রিয়া রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯১। যার মধ্যে ৬০০ রোগী সুস্থ হচ্ছেন হোম আইসোলেশনেই।
অন্যদিকে গোটা দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লক্ষ ৫ হাজার ২৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯৮ জন। মারা গিয়েছেন ২৯ হাজার ৯১৪ জন। অন্যদিকে করোনার গ্রাস কমলেও এখনও রাজধানীর বুকে ৪ হাজার ৭৫২টি কন্টেইমেন্ট জোন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ২৮ জুন পর্যন্ত ইতিমধ্যেই গোটা দিল্লিতে করোনা বিধিনিষেধ লঘু করেছে আম আদমি পার্টির সরকার।