সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা শুধু শোভন-বৈশাখীকে নিয়েই
সাম্প্রতিক বৃষ্টি আর জলজমার খবর পিছনে ঠেলে দিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের খবরকে। এই দুজন এখনও কোনও রাজনৈতিক দলে না থাকলেও এর সঙ্গে স্বাভাবিক কারণের জড়িয়ে পড়েছে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নাম। রত্না বেহালা পূর্বের বিধায়কও বটে। বিশেষ করে শোভন চট্টোপাধ্যায় সব সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখে দেওয়া, একইসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক প্রোফাইলে নাম বদল করা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যেন সাধারণ মানুষের আর কোনও অভাব-অভিযোগ-অসুবিধা নেই। ওই খবরটাই মশলাদার। কেউ কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যও করেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে লিখে দেওয়ার কারণ হল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ভয়। দেশের আইন অনুযায়ী, কোন দান করা সম্পত্তি তদন্তকারী সংস্থা বাজেয়াপ্ত করতে পারে না।
ডিসেম্বর থেকেই সৌমিত্র-সুজাতার বিভেদ সামনে
বিষ্ণুপুর থেকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনটা লড়েছিলেন সুজাতা। কেননা আলাদতের নির্দেশে সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে ঢুকতেই পারেননি। পরবর্তীতে সময় গিয়েছে। সৌমিত্র খাঁকে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি করেছে। কিন্তু পদ অধরাই রয়ে গিয়েছিল সুজাতার কাছে। সেই নিয়েই নাকি সৌমিত্র-সুজাতার বিরোধী। ২০২০-র ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি যোগ দেওয়ার পরেই তৃণমূলে যোগ দেওয়া কথা জানান সুজাতা। সেই সময় সৌমিত্র খাঁ তাঁদের বিরোধের কারণ সামনে এনে জানিয়ে দেন, তিনি সুজাতার বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা করবেন।
ভোটের দিন আক্রান্ত হওয়া নিয়ে সুজাতাকেই দুষেছিলেন সৌমিত্র
এবারের নির্বাচনে আরামবাগে প্রার্থী হয়েছিলেন সুজাতা। সেখানে ভোটের দিন ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। দুদফায় সুজাতার ওপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সৌমিত্র খাঁ অবশ্য সুজাতাকেই দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দিনের পর দিন মানুষ ভোট দিতে পারেনি, তারই জবাব দিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত বিজেপি রাজ্যে ২০০ আসনে পৌঁছতে না পারলেও আরামবাগে সুজাতা হেরে গিয়েছিলেন।
দিলীপ ঘোষকে নেতা মানে না বিজেপির লোকেরাই! কেন একথা বললেন শোভনদেব
সৌমিত্র সম্পর্কে যা বললেন সুজাতা
সুজাতা খাঁ নিজেদের বিচ্ছেদকে অন্য কোনও দাম্পত্য বিচ্ছেদের সঙ্গে তুলনা করতে রাজি নন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তাঁদের বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ আলাদা কারণে। আর সৌমিত্র খাঁ সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া মধ্যে প্রায় ছয়মাস কেটে গেলেও তিনি সৌমিত্রের নতুন কোনও সম্পর্কে জড়ানো নিয়ে কোনও খবরই শোনেননি। পাশাপাশি তিনি নিজের সম্পর্কে বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে তিনি খুবই ব্যস্ত, তাই অন্য কারণ জীবন নিয়ে বিশেষ আগ্রহী নন।