হলদিয়া : হলদিয়া বন্দরে (haldia port) আসার পথে পর্তুগিজ কন্টেনারবাহী (Portuguese container) জাহাজের (ship) ট্যাঙ্ক ফুটো, বঙ্গোপসাগরে (bay of bengal) তেল ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ।
পাঁচ দশক পর হলদিয়া বন্দরের মোহনায় সব থেকে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ আসার ঘটনার পর আবার হলদিয়া বন্দরে আসার পথে একটি পর্তুগিজ কন্টেনারবাহী জাহাজের ট্যাঙ্ক ফুটো হয়ে মাঝসমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ল ১০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল । বঙ্গোপসাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ।
এমভি ডেভন নামে ওই জাহাজটি কলম্বাে থেকে কন্টেনারে পণ্য নিয়ে হলদিয়া আসছিল । জাহাজটি হলদিয়া থেকে প্রায় ৫০০ কিলােমিটার দূরে রয়েছে । জানা গিয়েছে , ওই জাহাজে ৩৮২ টি কন্টেনার রয়েছে । যাতে মােট পণ্যের পরিমাণ ১০ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন । ১৭ জন নাবিক রয়েছেন জাহাজটিতে । এদের মধ্যে ১১ জন ফিনিপিন্সের , ৪ জন ইউক্রেনের , একজন রাশিয়ান ও একজন জার্মানির । জাহাজে ১ লক্ষ ২০ হাজার লিটার লাে – সালফার জ্বালানি তেল ছিল । তার মধ্যে ১০ কিলােলিটার অর্থাৎ ১০ হাজার লিটার তেল ছড়িয়ে গিয়ে বিপত্তি দেখা দিয়েছে । তেলের ট্যাঙ্ক ফুটো হওয়ার পর বিপদগ্রস্ত এমভি ডেভনের ক্যাপ্টেন হলদিয়া বন্দরের মেরিন বিভাগ ও কোস্টগার্ডকে খবর দেন ।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গিয়েছে , জাহাজটি ১৬ জুন সমস্যায় পড়ে । ওই সময় জাহাজটি চেন্নাই থেকে ২৫০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ – পূর্বে অবস্থান করছিল । কোস্টগার্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও এবিষয়ে সক্রিয় নজরদারি শুরু করে । ঘটনার পরই কোস্টগার্ডের পলিউশান রেসপন্স টিমকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় । মাঝসমুদ্রে পাঠানাে হয় কোস্টগার্ডের জাহাজ ও ডর্নিয়ার এয়ারক্র্যাফ্ট ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হলদিয়ায় জাহাজটির পৌঁছনাের কথা ছিল । কিন্তু বিপদে পড়ায় জাহাজটির আসতে দু’দিন দেরি হবে । এখন জাহাজটি হলদিয়া অভিমুখে রওনা দিয়েছে । রবিবার নাগাদ জাহাজটি হলদিয়া এসে পৌঁছতে পারে এমটাই কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গিয়েছে ।
সম্প্রতি হলদিয়া বন্দরে এসে পৌঁছেছিল ১০০০ মেট্রিক টনের বড় জাহাজ। ইতিহাস বলছিল এই বন্দরের এত বড় জাহাজ গত একান্ন বছরে কোনওদিন আসেনি। ওই জাহাজের নাম ছিল মনরুভিয়া। জাহাজের মধ্যে ছিল ৬৬ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। হলদিয়া বন্দরে এত বড় জাহাজ ঢুকে পড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এলাকায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.