ভোট মিটতেই দেওয়া কথা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন আইনি জটিলতায় সেই প্রক্রিয়া থমকে যায়। ভোটের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হতেই নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুল শিক্ষা দফতরকে।
সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে চালু হতে চলেছে উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী খুব শিঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত ইন্টারভিউয়ের লিস্ট কমিশন প্রকাশ করবে বলেও জানানো হয়েছে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবে কয়েক হাজার আবেদনকারী।
শুধু তাই নয়, বেকার সমস্যা সমাধানেই নতুন দিক খুলে যাবে বলে মনে করছেন শিক্ষামহল।
উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে ভোটের অনেক আগেই বিজ্ঞপ্তি দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর ভোটের আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এই নিয়োগ নিয়েই আদালতে মামলা হয়। অস্বচ্ছতার অভিযোগে ২০২০ সালে ১১ ডিসেম্বর গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকেই বেআইনি বলে। শুধু তাই নয়, অচ্ছতার অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেয়। নতুন করে ফের নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যাতে সমস্ত নিয়ম শিক্ষা দফতর মানে সেই নির্দেশ দেয় আদালত।
এই নির্দেশ রাজ্যের কাছে বড়সড় ধাক্কা ছিল। আদালতের নির্দেশ মেনে নতুন করে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই নিয়োগ সংক্রান্ত ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হয় প্রথম থেকে। কিন্তু মাঝে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়াতে থমকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া।
শুধু তাই নয়, করোনাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে কাজের ক্ষেত্রে। এই অবস্থায় অনেকটাই দেরি হয়ে যায় কাজ। ফলে নিয়োগ নিয়ে একটা আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয় আবেদনকারীদের মধ্যে। যদিও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
কার্যত চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মতো চূড়ান্ত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কমিশন। প্রায় ১৪, ৩৩৯টি শূন্যপদে এই নিয়োগ হবে।
এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি শূন্যপদেও এই নিয়োগ করবে কমিশণ। যদিও সেই সংখ্যাটা কত টা কমিশনের তরফে এখনও জানানো হয়নি।
তবে আগে ২৪ হাজার ৭০৭ জনের একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয় কমিশনের তরফে। যদিও তা বাতিল করা হয়েছে।