একরাতের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল দিল্লির মালভিয়া নগরের বাবা কা ধাবা। একটি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বাবা কা ধাবা রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সাড়া ফেলেছিল গত বছরের করোনার লকডাউনের সময়। সেই বাবা কা ধাবার কর্ণধার কান্তা প্রসাদ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন এবং তিনি এখন সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতেই কান্তা প্রসাদকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১৫ নাগাদ তারা সফদরজঙ্গ হাসপাতাল থেকে জানতে পারেন যে ৮১ বছরের কান্তা প্রসাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে যে কান্তা প্রসাদ মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছেন এবং তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কান্তা প্রসাদের ছেলে করণ বিবৃতিতে একই কথা জানিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে তিনি কেন আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তার কারণ অজানা।
দিল্লিতে বাবা কা ধাবা নামে একটি ছোট খাবারের দোকান চালাতেন কান্তা প্রসাদ। কিন্তু গত বছর করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন এবং তার পরবর্তী সময়ে ক্রেতাতের অভাবে খাবার জুটছিল না তাঁর। ওই বৃদ্ধ দম্পতির দুর্দশার কথা তুলে ধরে তাঁদের দোকান 'বাবা কা ধাবা' নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ইউটিউবার গৌরব ওয়াসন ৷ 'বাবা কা ধাবা’-তে খাবার কিনে খেয়ে ওই দম্পতির পাশে দাঁড়ানোর জন্য দিল্লিবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন গৌরব ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও হাজারেরও বেশিবার শেয়ার হয় এবং অনেক তারকারাও বাবা কা ধাবাতে খাবার খাওয়ার জন্য ও কান্তা প্রসাদকে সহায়তা করতে দিল্লিবাসীকে আর্জি জানান। এরপরই বাবা কা ধাবাতে একরাতের মধ্যেই ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে।
এর ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগৃহীত হয় ৷ যে অর্থ দিয়ে একটি নতুন রেস্তোরাঁও খুলে ফেলেন কান্তা ৷ যদিও আর্থিক সাহায্যের সব অর্থ তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে গৌরব ওয়াসনের বিরুদ্ধেই সরব হন কান্তা ৷ দু' জনের সম্পর্কেও চিড় ধরে৷ সম্প্রতি ক্রেতার অভাবে নতুন রেস্তোরাঁ বন্ধ করে পুরনো দোকানেই ফিরে আসেন কান্তা৷ তিনি দাবি করেন, মানুষের থেকে যে সাহায্য তিনি পেয়েছিলেন, তার থেকে একটি অংশ তিনি সঞ্চয় করে রেখেছেন ৷ তা দিয়েই বাকি জীবন কেটে যাবে তাঁদের ৷ এ কথা বলার কয়েকদিনের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কান্তা ৷ তবে গৌরব ওয়াসন দাবি করেছেন যে তাঁর সঙ্গে কান্তার সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। তিনি কান্তার সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।