করোনা যোদ্ধাদের উপর হামলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজ্যগুলিকে এমনটাই নির্দেশ দিল কেন্দ্র। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
কার্যত দিন-রাত এক করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা।
কার্যত প্রবল গরমের মধ্যে পিপিই কিট পড়ে দিন-রাত এক করে ডিউটি করে যাচ্ছেন নার্সরা।
একেবারে করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছেন তাঁরা। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই রোগীর কিছু ঘটলেই সেই রাগ গিয়ে পড়ছে দেশের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর।
এমনকি রোগীর আত্মীয়রা ডাক্তার- স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর পর্যন্ত করছেন। দেশের সমস্ত রাজ্যেই কার্যত ছবিটা এক। আর এই সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে কড়া ভূমিকা নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের কাছে এই সংক্রান্ত ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে কোভিড যোদ্ধাদের। যেখানে কার্যত নিরপরাধ হয়েও মার খেতে হয়েছে একজন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীকে। এমনও উদাহারণও রয়েছে দেশে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে এই ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
একাধিক রাজ্যে এই ঘটনার প্রবনতা দিনে দিনে বাড়ছে। এই অবস্থায় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।
যে চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ্যগুলিকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, করোনা কালে কোনও কোভিড যোদ্ধা অর্থাৎ ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্য কর্মীর উপর আঘাত আসে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এই এফআইআর করতে হবে। চিঠিতে জানিয়েছেণ অজয় ভাল্লা। সর্বস্তরে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দ্রুত যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিচার হয় সেদিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে মহামারী আইনেও মামলা রুজু করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। আইন অনুযায়ী যে ব্যক্তি ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্য কর্মীর উপর হামলা করবে তাঁর পাঁচ বছরের জেল এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এমনকি অভিযোগের গুরুত্ব অনুযায়ী হেনস্তাকারীর সাত বছরের জেল এবং পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব সমস্ত রাজ্যগুলিকে দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়টির প্রচারের কথাও বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে সমস্ত হাসপাতালগুলিতে সতর্ক করে প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টের উপরও বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
কারণ সেখানে অনেক সময়েই উস্কানি দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্র।