বিজেপির প্রচারে সংখ্যালঘুদের মনে ভয়
অধীর চৌধুরী এদিন বলেছেন, ভোটের আগে রাজ্যে এনআরসি নিয়ে ব্যাপক প্রচার করেছিল বিজেপি। সেই প্রচারে সামিল হয়েছিল মোদী-শাহরা। কিন্তু তাতে ভীত হয়ে পড়েছিলেন সংখ্যালঘুরা। তা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত করতেই তৃণমূলকে ভোট। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের মনে হয়েছে, মোদীকে ঠেকাতে পারেন দিদি। তাই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, বিজেপির প্রচারের সুফল ঘরে তুলেছে তৃণমূল।
কংগ্রেস ও সিপিএম ধর্মনিরপেক্ষ
অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কিংবা সিপিএম ধর্মনিরপেক্ষ। সেটা সংখ্যালঘুরা জানেনন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাঁরা একতরফা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন সংখ্যালঘুরা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে জেতাতেই ভোট দিয়েছে। তাঁরা ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে হারাতেই। এদিকে অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় ২০২৪-এর লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
জোট হয়েছিল সিপিএম-এর সঙ্গে
অধীর চৌধুরী এদিন দাবি করেছেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছিল সিপিএম-এর সঙ্গে। তিনি জোটের জন্য যেসব বৈঠক করেছিলেন, সেখানে সিপিএম-এর নেতারাই হাজির ছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। অধীর আরও বলেছেন, সিপিএম-এর সঙ্গে আলোচনার পরেই তাঁরা ৯৩ টি আসনে লড়েই। আর যদি আইএসএফ-এর সঙ্গে তারা জোটে থাকতেন, তাহলে আইএসএফ কি মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিত, প্রশ্ন করেছেন তিনি।
জোট যে জায়গায় ছিল, সেই জায়গাতেই আছে
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন জোট যে জায়গায় ছিল সেই জায়গাতেই আছে। সিপিএম কিংবা কংগ্রেস কেউই কাউকে জোট ছাড়ার কথা জানায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের সমর্থনে নির্বাচিত সিপিএম-এর রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের সাঁইবাড়ি নিয়ে অবস্থান প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অধীর চৌধুরী। জোট নিয়ে রিভিউ হবে কিনা তা পরের প্রশ্ন বলে জানিয়েছেন তিনি। বামেদের কর্মসূচিতে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গকেও এদিন আমল দিতে চাননি অধীর চৌধুরী।