ডেকে আনা হয়েছিল করোনার মহামারী। তার জন্য দায়ী লৌকিকতা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন শুক্রবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন- লোকে ডেকে এনেছিল করোনা ভাইরাস। নাগরিকরা সতর্কতামূলক পরামর্শ মেনে চলা বন্ধ করে দেওয়াতেই দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে দেশের বুকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মাঝে মুখোশ বিতরণের পর এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন শিল্প ও কর্পোরেট হাউসের লোকেরা এবং রাজনৈতিক নেতারা শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে শুরু করলে, তাঁরা সকলকে কোভিড বিধি মেনে চলা আচরণের মাধ্যমে জনতাকে রক্ষা করতে পারবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাঁদের ফ্রন্টলাইন কর্মচারীদের থেকে শুরু করে এবং অন্যান্য কর্মীদের কাছে মাস্ক বিতরণ করে এই বার্তা রাখে। তিনি বলেন, "সরকার গত বছর করোনা রুখতে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে আমরা করোনা সক্রিয় হ্রাস করতে সফল হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, এ বছরের গোড়ার দিকে ভ্যাকসিনগুলির আগমন এবং খানিক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে কোভিডের উপযুক্ত আচরণবিধিতে শিথিল করতে শুরু করেন। আর তা করেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল করোনা ভাইরাসকে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের মাশুল গুনতে হচ্ছে এখন।
তিনি বলেন, "ভারত করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে আনলকের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এখন আমরা শিথিলতা দেখাবো না কোনওমতেই। তাহলে তৃতীয় ঢেউ যে আছড়ে পড়তে দেরি হবে না, তা বলাই যায়। করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলাই হল মোক্ষম অস্ত্র।