নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই টুইটার-কেন্দ্র সংঘাত লেগেই রয়েছে। এমনকী তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় দেশের মাটিতে এখন থেকে আর কোনো আইনি রক্ষাকবচও পাচ্ছে না টুইটার। এখন থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় টুইটারের বিরুদ্ধে যে কোনও ফৌজদারি মামলা করা সম্ভব। এমতাবস্থায় এই টানাপোড়েনের মাঝে এই বিশ্বখ্যাত মাইক্রোব্লগিং সাইটের কর্মকর্তারা কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধানী সংসদীয় কমিটির সামনে শুক্রবার তাদের বক্তব্য পেশ করেন বলে জানা যায়।
এদিকে এই মাসের গোড়ার দিকে নোটিশ জারি করে অবিলম্বে নতুন আইটি বিধি মেনে চলার জন্য টুইটারকে শেষ সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী নয়া বিধি না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই চলছিল চাপানৌতর। এরপরেই গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার এবং নাগরিকের অধিকার ও সুরক্ষার ব্যাপারে বিশদে জানাতে টুইটারকে তলব করেছিল তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
শুক্রবার টুইটার ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসি ম্যানেজার শাগুফতা কামরান এবং আইনী উপদেষ্টা আয়ুশি কাপুর কেন্দ্রীয় কমিটির সামনে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেন বলে জানা যায়। এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্র এবং টুইটারের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এমনকী উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত সহ শাসক পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের বেশ কিছু খ্যাতনামা ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে 'ব্লু টিক’ তুলে নেওয়াতে নতুন করে শুরু হয় বিতর্ক।
এমনকী কংগ্রেসের বিতর্কিত টুলকিট কাণ্ডেও বিগত মাসে বিস্তর জলঘোলা হয়। এমনকী টুলকিট ইস্যুতে কেন্দ্রের নির্দেশেই দিল্লি পুলিশ দিল্লি এবং গুড়গাঁওয়ে টুইটারের দফতরেও হানা দেয়। আর তারপরেই চরমে ওঠে বিবাদ। যদিও বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে টুইটার নিজেদের মাথা ঝোঁকায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। তাদের স্পষ্ট দাবি কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় অনেক অনৈতিক নীতিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। যা তাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। টুইটারের সাফ দাবি তারা তাদের নিজস্ব নীতিতেই কাজ চালাবেন। কিন্তু টুইটারের হার না মানা জেদের বিপরীতে আগামী কেন্দ্র কী পদক্ষেপ নেয় এখন সেটাই দেখার।