বেঙ্গালুরুঃ টোকিও অলিম্পিক(Tokyo Olympics) শুরু হতে আর বাকি মাত্র কয়েকদিন। আগামী ২৩ জুলাই থেকে করোনা আবহেই শুরু হয়ে যাবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। আর আজ সেই বহুপ্রতীক্ষিত ইভেন্টের জন্য ১৬ সদস্যের ভারতীয় পুরুষ হকি দল ঘোষিত হল। সেই দলে মনপ্রীত সিং(Manpreet Singh), পি আর সৃজেশের (PR Sreejesh) মতো অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের পাশাপাশি, অমিত রোহিদাস (Amit Rohidas), হার্দিক সিং(Hardik Singh), বিবেক সাগর প্রসাদ-সহ(Vivek Sagar Prasad) ১০ জন নতুন প্লেয়ারও রয়েছেন যাঁরা টোকিওতে নিজেদের অলিম্পিক ডেবিউ করতে চলেছেন। অলিম্পিকগামী ভারতীয় দলের অধিনায়কের নাম জানানো এখনও ঘোষিত হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, কয়েক বছর ধরে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানো মনপ্রীতকেই টোকিওতে অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে।

১৬ সদস্যের এই দলে মোট ছয়জন অভিজ্ঞ প্লেয়ারকে রাখা হয়েছে। তাঁরা হলেন, ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং গোলরক্ষক পি আর সৃজেশ(PR Sreejesh), মিডফিল্ডার মনপ্রীত সিং(Manpreet Singh), ডিফেন্ডার হরমনপ্রীত সিং(Harmanpreet Singh), রুপিন্দর পাল সিং(Rupinder Pal Singh) ও সুরেন্দর কুমার(Surender Kumar), এবং ফরোয়ার্ড মনদীপ সিং(Mandeep Singh)। এই ছয় প্লেয়ার ২০১৬ রিও অলিম্পিকেও ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

অলিম্পিকগামী ভারতীয় দলে পাঁচজন করে মিডফিল্ডার, ডিফেন্ডার এবং ফরোয়ার্ড রাখা হলেও, গোলরক্ষক একজনই রাখা হয়েছে। তিনি হলেন পি আর সৃজেশ। তাই প্রতিভাবান গোলরক্ষক কৃষণ বাহাদুর পাঠককে(Krishan Bahadur Pathak) আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে নিজের অলিম্পিক ডেবিউর জন্য। তবে কৃষণ ছাড়াও রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দলের সদস্য স্ট্রাইকার আকাশদীপ সিং(Akashdeep Singh) এবং রমনদীপ সিংয়েরও(Ramandeep Singh) জায়গা হয়নি টোকিওগামী দলে।

দল নির্বাচন ঘোষণার পর হকি ইন্ডিয়ার(HI) তরফ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে ভারতের পুরুষ হকি দলের হেড কোচ গ্রাহাম রিড(Graham Reid) বলেছেন, ‘এত প্রতিভাবান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী দলের মধ্য থেকে ১৬ জনকে বেছে নেওয়া একদমই সহজ ছিল না। প্রত্যেক অ্যাথলিট দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে এবং সবচেয়ে জরুরি তাঁরা একে অপরের সঙ্গে দারুনভাবে পারফর্ম করেছে। ওঁরা অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মানে জানে। এখন আমাদের লক্ষ্যই হল একইভাবে অনুশীলন করে যাওয়া এবং দল হিসেবে টোকিওতে নিজেদের সেরাটা দেওয়া’।

হকি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট জ্ঞানেন্দ্র নিঙ্গোমবাম(Gyanendro Ningombam) অলিম্পিকগামী ভারতীয় দলের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘সম্প্রতি ইন্টারন্যাশানাল হকি ফেডারেশন প্রো লিগে(FIH Pro League) আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে ভারতের পারফরম্যান্সেই বোঝা গিয়েছে তাঁরা সঠিক পথে এগোচ্ছে। আমি ওঁদের সাফল্য কামনা করি’।

অলিম্পিকে ফিল্ড হকির ইতিহাস ঘাঁটা হলে সবচেয়ে সফল দেশ হিসেবে উঠে আসবে ভারতের নাম। ১৯২৮ থেকে ১৯৫৬ সময়কাল পর্যন্ত ভারত অলিম্পিকে(Olympics) ফিল্ড হকিতে টানা ছ’বার সোনা জিতেছে। এখনও পর্যন্ত ভারত এই খেলায় ৮টি স্বর্ণপদক, ১টি রৌপ্য পদক এবং ২টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। ভারত শেষ বার হকিতে পদক জিতেছিল ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে(Moscow Olympics)। ফাইনালে স্পেনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দেশকে স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছিল বাসুদেবন বাস্করণের(Vasudevan Baskaran) দল। তবে ভারতীয় দল ৪১ বছরের পদক খরা কাটাতে এবার মরিয়া। একাধিক বিশেষজ্ঞও বলেছেন এই দলের ক্ষমতা আছে অলিম্পিক পদক জেতার।

টোকিও অলিম্পিকে ভারত পুল এ-তে রয়েছে। তাঁদের সঙ্গেই দলে রয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা, তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর হকি দল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন এবং জাপান। এবার দেখার এই কঠিন প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়াই করে মনপ্রীতরা দেশকে পদক এনে দিতে পারেন কিনা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.