মন্ত্রিসভায় রদবদল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পর আর মন্ত্রিসভায় তেমন রদবদল করেননি। এবার নতুন করে একটু সাজানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন মোদী। সামনেই কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সকথা মাথায় রেখেই আরও মন্ত্রিসভায় বাড়তি নজর দিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বেশ কয়েক দফায় আলোচনা সেরে ফেলেছেন মোদী।
জায়গা পেতে পারেন সিন্ধিয়া, বরুন
মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকার ফিরিয়ে এনেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া। কংগ্রেসে যাকে বলে তারকা পতন হয়েছিল। বিজেপিতে সিন্ধিয়া যোগ দিলেও তেমন গুরুত্ব মেলেনি দিল্লিতে। এবার তাই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে মন্ত্রিসভায় আনতে পারেন মোদী। এমনই ভাবনা চিন্তা চলছে। লোকসভা ভোটে মূলক গোবলয়ের কথা মাথায় রেখেই এবার মন্ত্রিসভা সাজাতে শুরু করবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে বরুণ গান্ধীও জায়গা পেতে পারেন এই মন্ত্রিসভায়। গান্ধী পরিবারের সদস্য হলেও প্রথম থেকেই মানেকা গান্ধী এবং বরুন গান্ধী বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।
উত্তর প্রদেশে ভোট
সামনেই উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর প্রদেশের ভোট বেশি মাত্রায় গুরুত্ব পূর্ণ। কারণ এই রাজ্যের জনতার রায়ই নাকি ঠিক করে দিল্লির মসনদে কে বসবেন। কাজেই উত্তর প্রদেশের ভোটের দিকে তাকিয়ে আরও বেশি করে ঘর সাজাতে মরিয়া মোদী। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের ফলাফলও প্রভাব পড়বে মোদীর মন্ত্রিসভায় এমনই মনে করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি মন্ত্রীর গুরুত্ব বাড়তে পারে। মন্ত্রিসভায় ভোটমুখী রাজ্যের প্রতিনিধিদের গুরুত্ব বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভাগ করা হবে দায়িত্ব
নতুনরা জায়গা করে নিলেও পুরনো বেশ কিছু মন্ত্রীর মেয়াদ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার একই মন্ত্রীর উপর একাধিক দফতরের দায়িত্ব না দিয়ে সেগুলি ভাগ করে দেওয়া হবে। রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে বাণিজ্য মন্ত্রকের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। আবার কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলি ভাগ করে মন্ত্রক বণ্টন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।