৭০ পাতার নির্দেশিকা
করোনা ভাইরাসের আবহে টোকিওয় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অলিম্পিক্স। নিজেদের ও বাকিদের সুরক্ষিত রাখতে গেমসে অংশ নিতে চলা অ্যাথলিটদের জন্য ৭০ পাতার নির্দেশিকা তৈরি করেছে জাপান সরকার ও ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি। জানানো হয়েছে, জাপানে পৌঁছনো অন্যান্য দেশের অ্যাথলিটদের ন্যূনতম তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অ্যাথলিটদের প্রতিদিন কোভিড ১৯ টেস্টে অংশ নিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। নিজ নিজ গেমস ভিলেজে জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে বেরোনো চলবে না। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম। নিজেদের ইভেন্ট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাথলিটদের নিজ নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা হতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়ার অনেক আগে থেকে নিজ নিজ পরিচিত পরিবেশে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেছেন অ্যাথলিটরা। কেউ কেউ তো এক বছর ধরে পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যও যে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা বলা অপেক্ষা রাখে না।
গেমস থেকে সরে আসার আবেদন
করোনা ভাইরাসের আবহে অলিম্পিক্স বন্ধের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একাধিক চিঠি জাপান সরকারের হাতে পৌঁছেছে। বেঁকে বসেছেন ডাক্তাররাও। তা সত্ত্বেও গেমস যেনতেন প্রকারেণ গেমস আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন ও উদ্যোক্তাদের প্রধান অস্ত্র হতে চলেছে অ্যাথলিটদের দৈনিক কোভিড ১৯ টেস্ট। তাতে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন না জাপানের নাগরিকরা। কোনও উপায় না দেখে দেশের অ্যাথলিটদেরই অলিম্পিক্স না খেলার আবেদন জানিয়েছেন গেমস-বিরোধীরা। যা সাম্প্রতিক সময়ে নজরবিহীন বলা চলে।
প্রস্তুতিতে বাধা
বিভিন্ন দেশ থেকে জাপানে অলিম্পিক্স খেলতে যাবেন যে যে অ্যাথলিট, তাদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন অনুশীলন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে কড়া বিধিতে বিদেশি অ্যাথলিটদের প্রস্তুতি যে বাধা পেতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জৈব সুরক্ষা বলয়, কোয়ারেন্টাইনে দিন কাটিয়ে সেভাবে মুক্তমনে যে অনুশীলন করা সম্ভব নয়, তা মেনেও নিয়েছে অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলা অ্যাথলিটদের একটা অংশ।
বাইরের টিকায় না
২০২১ সালের অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলা অ্যাথলিটদের কোভিড ১৯ টিকা না নিয়েই টোকিওয় প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে জাপান সরকার। পরিবর্তে অ্যাথলিটদের জাপানেই পিফিজার আইএনসি ও বায়োএনটেক এসই এবং চিনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড দেওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি। তাতেই বিড়ম্বনায় পড়েছেন অ্যাথলিটরা। কারণ তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিজ নিজ দেশে কোভিড ১৯ টিকার হয় প্রথম নয়, দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ফেলেছেন।
কার্যত দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম
অলিম্পিক্স চলাকালীন টোকিওয় বিদেশি দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমিত সংখ্যক জাপানি দর্শকরাই মাঠে বসে ইভেন্টগুলির মজা নিতে পারবেন। সেখানেও থাকছে বিস্তর কড়াকড়ি। এরপরেও করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জয় হাসিল করতে দেশের নাগরিকদের মাঠে যাওয়ার থেকে টিভিতে বসে অলিম্পিক্স দেখার পরামর্শ দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। ফলে কার্যত দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চেলেছেন বিশ্বের ১১ হাজারেও বেশি অ্যাথলিট। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে গেমস। চলবে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত।
ভারতীয় তারকাদের পছন্দের তালিকায় নেই ইডেন ও নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম