ভিসা পদ্ধতির কাজ শুরু
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন যে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আমেরিকায় শিক্ষাবর্ষের সেশনগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য গঠনমূলক সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ক্যাম্পাস শিক্ষার জন্য ভিসা পদ্ধতি শুরু করে দিয়েছে।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি
মূলত উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক ভারতীয় পড়ুয়ারাই আমেরিকা পাড়ি দেন। এ বছরও বহু ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু করোনার প্রকোপে ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ স্থগিত হয়েছিল। এ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘টিকাকরণের কোনও বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই। মার্কিন সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকাকরণ বাধ্যতামূলক নয়। আমি আরও বুঝতে পারছি যে আমাদের পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একাধিক কথোপকথন চলছে।'
মার্কিন সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধ
আসলে এই মন্তব্যের পেছনের কারণ হল মার্কিন সরকার ও কিছু খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মত পার্থক্য। কারণ সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চাইছে তাদের ক্যাম্পাসে ভারতীয় পড়ুয়ারা টিকাকরণের পর ফিরে আসুক। তবে মার্কিন সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে যে সব পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ করানো নেই তাঁদের এক সপ্তাহের জন্য সেল্ফ-কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। মুখপাত্র বলেছেন, ‘২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সফরকারীদের আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ২ বছর বা তার বেশি বয়সের বিমান যাত্রীদের আমেরিকায় আসার পূর্বে কোভিড-১৯ নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট বহন করা বাধ্যতামূলক। এই নির্দেশ বিদেশি নাগরিক ও আমেরিকার নাগরিক উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। আমেরিকায় আসার পাঁচদিনের মধ্যে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক।'
কোভ্যাকসিন বা স্পুটনিকের ওপর ভরসা নেই
প্রসঙ্গত, যে সকল ভারতীয় পড়ুয়া কোভ্যাকসিন বা স্পুটনিক ভি টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের ফের টিকা নিতে বলেছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। কারাণ কোভ্যাকসিন এবং স্পুটনিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় নেই। আর এই নিয়ে মার্কিন সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলির মধ্যে মত পার্থর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং ইউরোপিয় ইউনিয়ন কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয়নি। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জানিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়পত্র না দিলে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হবে না।