নতুন আইটি বিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও টুইটারের মধ্যে কোন্দল চলছে। তারই মধ্যে শুক্রবার সংসদীয় প্যানেলের সদস্যরা টুইটার ইন্ডিয়া কর্মকর্তাদের মেনে চলা নীতি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানালেন। সংসদীয় প্যানেল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সবার উপরে 'রুল অফ ল্যান্ড'। তাঁরা মনে করেন, টুইটার দেশের নিয়ম লঙ্ঘনকারী।
জুন মাসের শুরুতে টুইটারকে নতুন আইটি বিধি মেনে চলার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সেখানে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল আইন মোতাবেক সমস্ত ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের সভাপতিত্বে তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত সপ্তাহে প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার এবং নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে টুইটারকে তলব করেছিল।
শুক্রবার টুইটারের ভারতের জননীতি ম্যানেজার শাগুফতা কামরান এবং আইনজীবি আয়ুশি কাপুর প্যানেলের সামনে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, প্যানেলটির সদস্যরা টুইটার ইন্ডিয়া কর্মকর্তাদের কাছে কিছু কঠোর এবং অনুসন্ধানমূলক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন। তবে এর উত্তরগুলির স্পষ্টতা নেই এবং অস্পষ্ট ছিল। টুইটার ইন্ডিয়া কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে তারা তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। স্পষ্টভাবে তাদের বলা হয়েছিল, "ভূমির শাসন সর্বোচ্চ, আপনার নীতি নয়"।
টুইটারের মুখপাত্র বলেছেন, "আইটি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির আগে আমরা আমাদের মতামত শেয়ার করার সুযোগের প্রশংসা করি। টুইটার আমাদের স্বচ্ছতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার নীতিগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইনে নাগরিকদের অধিকার রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য এবং কমিটির সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।"
টুইটার এবং কেন্দ্রের মদ্যে গত কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে চাপানউতোর চলছে। উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতসহ কয়েকজন সিনিয়র কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে সংক্ষিপ্তভাবে 'ব্লু টিক' যাচাইয়ের ব্যাজটি সরিয়ে ফেললে মাইক্রোব্লগিং সাইটের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এরপর টুইটার কর্তৃপক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইটি বিধি মেনে চলার জন্য টুইটারকে সর্বশেষ সুযোগ দিতে একটি নোটিশ জারি করেছিল। তারপরই কেন্দ্রের আইন মানার ব্যাপারে পদক্ষেপ শুরু করে টুইটার। নতুন তথ্য-প্রযুক্তি আইন নিয়ে কেন্দ্র ও টুইটারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। কেন্দ্রের নোটিশ জারির পর টুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের গাইডলাইন মেনে চলতে সবরকম প্রচেষ্টা করছেন। টুইটার জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী ভারত নতুন আধিকারিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে।