করোনার পাশাপাশি চিকিৎসকদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু। গত বছরও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। জমা জলে মশাবাহিত এই রোগে এই বছরও বেশ কয়েকজনের আক্রান্ত হওয়ার সামনে এসেছে। কিন্তু এই আক্রান্ত হওয়ার খবর নিয়ে তৈরি হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সংঘাত।
ডেঙ্গুতে কত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সে বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ কেন্দ্রের। এমনকি চিকুনগুনিয়া নিয়েও কোনো তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ।
আর এই অভিযোগেই নতুন করে সংঘাত তৈরি হয়েছে। রাতারাতি রাজ্যকে টাকা পাঠানো বন্ধ করল কেন্দ্র। রাজ্যকে ইমেল মারফৎ এই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই ইমেল পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, টাকা বন্ধ হতেই স্বাস্থ্য দফতরকে তথ্য না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
যদিও ইতিমধ্যে কতজন মানুষ ডেগুতে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন আর কত জন মানুষ চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক। জানা যাচ্ছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মধ্যে কেন্দ্রীয় রাজ্য সরকারগুলিকে এই খাতে টাকা দিয়ে থাকে।
ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়া ক্ষেত্রে কিছু টাকা বরাদ্দ করা হয়। আরও বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকাই বন্ধ করে দিল এবার কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের জন্যেও কোনও বরাদ্দও এবার করা হয়নি। ইতিমধ্যে রাজ্যকে সে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে কেন্দ্রকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। কতজন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, চিকিৎসা কি করা হয়েছে, পরিকাঠামো নতুন করে তৈরি করা হয়েছে কিনা কোনও তথ্যই দেওয়া হয়ই বলে অভিযোগ। চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক একই ছবি।
এই অবস্থায় টাকা দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বলে ইমেলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যদিও কেন্দ্রের পদক্ষেপকে তীব্র আক্রমন করেছেণ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, যখন বিমাতৃসুলভ আচরণ করার চেষ্টা হচ্ছে, তখন এটা একটা বাহানা মাত্র বলে মনে করেন সাংসদ।
শুধু তাই নয়, সাংসদের দাবি, ছুতো পেলেই রাজ্যের পাওনা টাকা বন্ধ করে দেওয়ার ছক কষে কেন্দ্র। আমফানের টাকা থেকে রাজ্যের বকেয়া টাকা এখনও দিচ্ছেনা কেন্দ্র।
আর এটা তো কিছুই না বলে মনে করেণ এই চিকিৎসক। হেরেও নোঙরা রাজনীতি থেকে বিজেপি সরছেনা বলেও অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।