প্রতি কেজির দাম ২.‌৭০ লক্ষ, বিশ্বের মূল্যবান–বিরল প্রকৃতির মিয়াজাকি আম নিয়ে জানুন সব তথ্য

আম চুরির ভয়ে চারজন নিরাপত্তারক্ষী ও ৬ জন তাগড়াই কুকুরকে পাহারায় রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের এই দম্পতি। বাড়াবাড়ি ভাবছেন?‌ না, তা একদমই নয়। আসলে এই দম্পতির বাগানে ফলেছে জাপানের মিয়াজাকি আম, যা ভারতে বিরল। ওই দম্পতি জানিয়েছেন ট্রেনে করে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি তাঁদের এই আমের চারা দিয়েছিলেন।

রং, গন্ধ সবই আলাদা

জাপানিজ মিয়াজাকি আম অন্য সব আমের চেয়ে অনেকটাই ভিন্নধর্মী। এমনকী ভারত ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে আমের যে রং, গন্ধ জনপ্রিয়, তার থেকে অনেকটাই আলাদা এই আম। মধ্যপ্রদেশের ওই দম্পতি জানিয়েছেন যে এই মিয়াজাকি আমের রং রুবি পাথরের মতো লাল। আর পাঁচটা হিমসাগর, মল্লিকা, ল্যাংড়া, বেগমপসন্দ, গোলাপখাসের সঙ্গে এই আম গুলিয়ে ফেললে ভুল করবেন। কারণ এটি বিশ্বের অন্যতম বিরল প্রজাতির আম। এর নাম - ‘‌মিয়াজাকি'‌। মিয়াজাকি ছাড়াও এই আম পরিচিত, ‘‌সূর্যের ডিম'‌ (‌জাপানিজ নাম তাইয়ো-নো-তামাগো)‌ নামে।

অত্যন্ত মিষ্টি এই আম

এই আমগুলি জাপানের কিউশু প্রদেশের মিয়াজাকি শহরে প্রথম ফলতে দেখা গিয়েছিল, তাই এই শহরের নামেই এই আমের নাম। এই আমগুলির এক-একটির ওজন ৩৫০ গ্রামের ওপর এবং এই আমে ১৫ শতাংশ বা তার বেশি মিষ্টির ভাগ থাকে।

প্রতি কেজির মূল্য ২.‌৭০ লক্ষ

জাপানের মিয়াজাকির স্থানীয় পণ্য ও বাণিজ্য প্রচার কেন্দ্র অনুসারে, এই আমগুলি এপ্রিল ও অগাস্টের মাঝে উচ্চ পরিমাণে ফলন হয়। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দামি এই আম, যা গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে ২.‌৭০ লক্ষ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল। ভারতে এই প্রজাতির প্রত্যেক আমের দাম ১৫ হাজার টাকা করে।

সাধারণ আমের চেয়ে অনেকটাই আলাদা

জাপানের পণ্য উপাদন কেন্দ্র অনুসারে, এই মিয়াজাকি আম ‘‌ইরভিন'‌ আম, যা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে ফলিত হলুদ বর্ণের ‘‌পেলিকান আম'‌-এর চেয়ে অনেকটাই আলাদা। এই আম জাপানের সর্বত্র চালান হয় এবং ওকিনাওয়ার পর জাপান এই আম চালানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

এই আমের গুণাগুণ

এই আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ও রয়েছে বেটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক আ্যাসিড, যা ক্লান্ত চোখের জন্য দারুণ উপকার দেয়। এই আম চোখের দৃষ্টিকেও আরও জোরালো করে।

বিরল প্রজাতির আম আগলে রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের দম্পতি, পাহারায় ৪ জন রক্ষী ৬ টি কুকুরবিরল প্রজাতির আম আগলে রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের দম্পতি, পাহারায় ৪ জন রক্ষী ৬ টি কুকুর

আমের ফলন শুরু হয় কবে

এই মিয়াজাকি আমের ফলন শুরু হয় ১৯৭০ সালের শেষের দিকে এবং ১৯৮০ সালের প্রথমদিকে। এই মিয়াজাকি শহরের উষ্ণ আবহাওয়া, দীর্ঘ সময় ধরে থাকা সূর্যের রশ্মি এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টি কৃষকদের এই আম ফলন করতে সম্ভব করেছে। বিশেষ তাপমাত্রা, নির্দিষ্ট পরিমাণে জল, পরিমিত সার-সহ একাধিক জিনিসের সমন্বয়ে মিয়াজাকি আম চাষ করতে হয়। এটি এখন এখানে বেশ প্রভাবশালী উৎপাদন।

ডায়নাসোরের ডিমের মতো আকার

জাপান দ্বীপপুঞ্জে এই আম রপ্তানির পূর্বে কড়া পরীক্ষা ও চেখে নেওয়া হয়। অত্যন্ত উন্নত মানের গুণ বজায় রেখে এই ‘‌সূর্যের ডিম'‌ বা ‘‌এগ অফ দ্য সান'‌ গোটা জাপান জুড়ে রপ্তানি হয়। এই আমের রং জ্বলন্ত লাল এবং এটি দেখতে খানিকটা ডায়নাসোরের ডিমের মতো।

প্রতীকী ছবি


More MANGO News  

Read more about:
English summary
know about costliest mango in the world miyazaki mango in bengali