স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বেলা ১২টা ১২ মিনিট নাগাদ স্পিকারের দফতরে একটি চিঠি পাঠান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সচিব এই চিঠি গ্রহণ করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে যত দ্রুত সম্ভব মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে।

বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ফিরলেও এখনও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি মুকুল রায়। বৃহস্পতিবারই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আরজির আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। চিঠি লেখাও হয়েছিল কিন্তু বিধানসভায় তা জমা পড়েনি। এদিন শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সব প্রক্রিয়া শেষ। কিন্তু বিধানসভার রিসিভ সেকশন বন্ধ থাকায় চিঠি জমা দেওয়া যায়নি। শুক্রবার সকাল এগারোটায় ফের বিধানসভায় যাওয়া হবে। রিসিভ সেকশন বন্ধ থাকলে অধ্যক্ষকে ইমেল পাঠানো হবে। সেইমতোই এদিন বিধায়ক পদ খারিজের আরজি জমা পড়ল বিধানসভায়। তবে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক পদ মুকুল আদৌও ছাড়বেন কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি মুকুল।

প্রসঙ্গত, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য মুকুল রায়কে সময় দিয়েছিল বিজেপি। সেই সময়ের মধ্যে তিনি ইস্তফা না দিলে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুকুলকে নিশানা করে এমনটাই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি বুধবারের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারের কাছে মুকুলের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে নালিশ ঠুকেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল গত সোমবার বলেন, ‘‌আমি জানতে পারলাম গত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগই করা হয়নি। আমি আশ্বস্ত করছি, পশ্চিমবঙ্গে এই আইন কার্যকর করা হবে। আমি নিশ্চিত করব যাতে কার্যকর হয়।’‌ যদিও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের পাল্টা দাবি, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় রাজ্যপালের কোনও ভূমিকাই নেই৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.