বর্ষা ঠুকতে না ঠুকতেই অতিবৃষ্টির ভ্রুকুটি গোটা দেশজুড়ে। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে জুনের প্রথম ১২ দিনেই প্রায় ৪৫৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে মুম্বইতে। প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী। সাধারণত প্রতি বছর মুম্বইতে বর্ষা ঢোকে ১০ জুন নাদাগ। এবার অবশ্য তাতেও ছন্দ পতন ঘটিয়ে আগেই সাগর তীরের নগরীতে পা রেখেছে বর্ষা।
এদিকে গত সপ্তাহ থেকে চলা একটানা বৃষ্টি বিরাম নেই চলতি সপ্তাহেও। এমনকী বিশেষ আশার কথা শোনাতে পারছে না খোদ আবহওয়া দফতরও। শুক্রবারও মুম্বই ও আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হওয়া অফিস। পালঘর, থানে, মুম্বই, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গে শুক্রবার দিনভর সর্বাধিক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১২টা অবধি বান্দ্রায় বৃষ্টি হয়েছে ৫৯.৫ মিলিমিটার। পাশাপাশি দহিসারে বেড়েছে বৃষ্টির তীব্রতা। সেখানে প্রায় ১৩৭.৫ মিমি পর্যন্ত বর্ষণ হয়েছে। জুহু বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৩.৫ মিলিমিটার। রাম মন্দির এলাকায় 6৮.০ মিলিমিটার। পাশাপাশি চ্যাম্বুরে ৫৯.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে ভাসতে পারে রাজ্যের ১৫ টি জেলা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে
এমনকী এক একদিনে মুম্বইয়ের অনেক জায়গায় ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বিরামহীন ভাবে বৃষ্টি হয়েছে বৃহঃষ্পতিবারও। সর্বাধিক বৃষ্টি হয় মুম্বইয়ের অন্ধেরি, কান্দিভালি, বোরিভালি, ভাইল পারলে এবং ভাসাই ও বিড়ারের সংলগ্ন অঞ্চলে। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে এই অঞ্চলগুলিতেও। পাশাপাশি অতিভারী বৃষ্টির জন্য ইতিমধ্যেই কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে রায়গড়, পালঘর ও থানেতে। পাশাপাশি মুম্বই-সহ কঙ্কন উপকূলের সর্বত্র 'লাল' সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় মৌসম ভবন।