ইয়াভেনঃ এবার আকর্ষণীয় আবিষ্কার ইজরায়েলে (Israel)। সেদেশে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ ইয়াভেন (Yavne) শহরে সম্প্রতি খননকার্য চলাকালীন প্রায় এক হাজার বছরের পুরানো একটি মুরগির ডিম আবিষ্কার করেছেন। Daily Mail-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিমটি বাইজেন্টাইন যুগের (Byzantine Era) একটি শিল্প কমপ্লেক্স থেকে আবিষ্কার করা হয়েছিল। এই ডিম আবিষ্কার সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় বিষয়টি হল, এটি একটি প্রাচীন সেসপিতে মানব মল দ্বারা আবৃত ছিল। এই ডিমের আবিষ্কার সম্পর্কে সংবাদমধ্যমের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার সময়, ইজরায়েলে অ্যান্টিকিটিস অথরিটি (IAA) জনিয়েছে যে ইসলামিক-কালীন হাড়ের পুতুলের একটি সংগ্রহ, যা কপটিক পুতুল নামে পরিচিত, সেখানে পাওয়া গেছে।

ওই প্রত্নতাত্ত্বিক (archaeologist) দলের মধ্যে একজন হলেন আলা নাগরস্কি (Alla Nagorsky)। তিনি জানালেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ডিম খুব কম সময় সুপারমার্কেটের কার্টনে দীর্ঘকাল ভালো থাকে। সেখানে এটি এক হাজার বছরের পুরানো সন্ধান, ভাবতে অবাক লাগে!” এমনকি এও জানা যাচ্ছে, ডিমের কুসুমও অক্ষত এখনও। অনেকের অনুমান, এই আসলে প্রাচীন উটপাখির ডিম। যার খোল অনেকটাই পুরু। সেই জন্যই এটি এতদিন অক্ষত থাকতে পেরেছে।

আবিষ্কার করা ডিমটি (1000 year-old chicken egg) প্রায় ছয় সেন্টিমিটার লম্বা এবং খোলটিতে কয়েকটি ফাটল ছিল। সময়ের সাথে সাথে, ডিমটি আরও ভঙ্গুর হয়ে গেছে। ওই এক হাজার পুরনো ডিমটি আরও বিশ্লেষণের জন্য iAA-র পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় এটির ফাটল উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এই ডিমের (egg) সঙ্গে তারা তিনটি হাড়ের পুতুলও পেয়েছিল। যেটিও আনুমানিক এক হাজার বছর আগের।

Israel Antiquities Authority এই গোটা বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করে লেখে, ইসলামী আমল থেকে একটি প্রাচীন স্যাসপিট খনন করার সময়, ইয়াভেনের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা একটি অখণ্ড মুরগির ডিম পেয়ে অবাক হয়েছিলেন। ডঃ এলি হাদাদ, লিয়াত নাদভ-জিভ এবং ডাঃ জোন সেলিগম্যান পরিচালিত বড় আকারের প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজগুলি বাইজেন্টাইন সময়কালের মধ্যবর্তী একটি বিস্তৃত ও বিচিত্র শিল্প অঞ্চলও আবিষ্কার করেছে। খননগুলি ইজরায়েল ভূমি কর্তৃপক্ষের শহরে নগর সম্প্রসারণ প্রকল্পের অংশ ছিল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.