মলয় ঘটককে যুক্ত করেছে সিবিআই
নারদ মামলায় ইতিমধ্যে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে যুক্ত করেছে সিবিআই। শুধু আইনমন্ত্রী নন, আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কও পার্টি করা হয়েছে। বাংলায় নারদ মামলার শুনানি সম্ভব নয়। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই মামলার তদন্ত করছে। কিন্তু সেখানে রাজ্যর আইনমন্ত্রী চলে যাচ্ছেন আদালতের শুনানিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই দফতরে গিয়ে বসে রয়েছেণ। সাংসদ হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয় বলে হাইকোর্টে একটি হলফনামা জমা দেয় সিবিআই। সেখানে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সহ আইনমন্ত্রী, সাংসদকে পার্টি করে সিবিআই। আর সেই মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন মলয় ঘটকের।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ
অন্যদিকে, এই মামলায় তিনজণের কাছে হলফনামা চায় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তা জমা পড়েনি। এরপর সেই হলফনামা জমা দিতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটকের হলফনামা জমা নেয়নি কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চ। নাম বাদ দেওয়ার পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তটিকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মলয় ঘটক। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জানিয়েছেন মলয় ঘটল। মনে করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে এই সগক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।
এক নজরে ঘটনা
উল্লেখ্য, ভোটের ফলাফলের পরেই নারদ মামলার তোরজোড় শুরু করেছে সিবিআই। গত একমাস আগে হঠাত করেই বাড়ি ঘিরে ধরে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত ভট্টাচার্য, মদণ মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এই গ্রেফতারি ঘিরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি ছিল, বিজেপি বাংলায় হারতেই এভাবেই প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। এই গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয় আইনি লড়াই। নিম্ন আদালতে জামিন মিললেও হাইকোর্টে গিয়ে বিষয়টি বিরোধীটা করে সিবিআই। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন চার হেভিওয়েট অভিযুক্ত। তবে হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু চলছে। চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় সিবিআই। এর মধ্যেই নাম বাদ দেওয়ার আবেদন নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে মলয় ঘটক।