ইংলিশবাজার : ‘নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এবার উত্তরবঙ্গকে (northbengal) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র (conspiracy) করছে বিজেপি (bjp)।’ সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই প্রতিবাদ করেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসুম নূর (mausam noor) ও তৃণমূল নেতৃত্বের। মালদহ জেলা প্রেস কর্ণারে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই দাবি করেন।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ দাবি করছে উত্তরবঙ্গকে যেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। বিজেপির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত। তারা বলছে উত্তরবঙ্গে কোনও উন্নয়ন নাকি হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভুল কথা। উত্তরবঙ্গের জন্য যথেষ্ট কাজ করেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও তার সরকার। একসময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ ছিল তাকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর করা হয়েছে। শিলিগুড়ি উত্তর কন্যা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পাহাড় থেকে মালদা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর কাজ করেছে। সবচেয়ে বড় উদাহরন মালদা ভুতনি ব্রিজ। বাঁধ সংস্কার থেকে শুরু করে ভাঙ্গন রোধের কাজ সব উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর মালদাতে করেছে। এছাড়াও তিনটি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ এটা ষড়যন্ত্র করতে চাইছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র চক্রান্ত ব্যর্থ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।’

মালদহ জেলা থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই সরকার আসার পর এই বছরই আমরা দফতরের চার্জ নিয়ে গজল ডোবায় ভোরের আলো একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তাতে সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে ইকোট্যুরিজম থাকবে।তার মধ্যে তাতে আগামী দিনে উত্তরবঙ্গের পর্যটনের নতুন দিশা খুলে যাবে। দার্জিলিংয়ের যথেষ্ট উন্নয়ন করা হয়েছে।এর আগে আমরা দেখেছি দার্জিলিঙে গেলে দেখবেন আন্দোলনে উগ্রতা দেখা দিয়েছিল। তাতে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের সম্পূর্ণ মদত ছিল। দার্জিলিংয়ের মানুষ তা বুঝতে পেরেছে এখন সেখানে কোনো গোল মাল নেই।

রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ এই রাজ্যের মাথা ও পশ্চিমবঙ্গের হৃদপিণ্ড।এরা যে বিজেপি গোর্খাল্যান্ড কামতাপুরী যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা তারা তৈরি করেছিলেন সাধারণ মানুষকে কুবুদ্ধি দিয়ে উস্কানি দিয়ে এই রাজ্য অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে সফল হননি। এবার এই রাজ্য দখল করতে এসেছিল রাজ্যের মানুষ তাদের দুরমুশ করেছে। এখন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার চক্রান্ত করছে। আগামী দিনে এই চক্রান্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণবঙ্গের নয় গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন যথেষ্ট হয়েছে। কৃষি থেকে শুরু করে ছোট শিল্প পর্যটন এই সরকারের আমলেই নতুন রূপ পেয়েছে। নতুন কলেজ শিলিগুড়ি শহরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ছোট ছোট শহরকে এবং পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে সাজানো হয়েছে। মানুষ বিজেপির পাশে নেই।’

গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন,উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এটি। উত্তরবঙ্গ দীর্ঘদিনের বঞ্চনার শিকার।বাম আমলেও তারা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তৃণমূলের আমলে ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। সেই কারণেই মানুষের দাবী বিজেপি তুলেছে । শাসকদল চক্রান্তের কথা বলছে তারা বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন করার নাম করে টাকা লুটপাট করেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.