তৃণমূলে মুকুল রায়
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। বাংলায় বিজেপির হারের পর থেকেই মুকুল রায়ের এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন। ভোটের সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল রাজ্য নেতৃত্বের। শুভেন্দু অধিকারীকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল। দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ভোটের আগে এক প্রকার সূক্ষ্ম দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তারপরেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়। শেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়।
বিধায়ক পদ খারিজের দাবি
মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছিলেন দলত্যাগ বিরোধী আইনে কখনওই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির বিধায়ক পদে থাকতে পােরন না তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভা অধ্যক্ষকে নোটিস
বিধানসভার অধ্যক্ষকে নোটিস দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে নোটিস দিয়েছেন িতনি। দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ যাতে খারিজ করা হয় সেই দাবিই জানানো হয়েছে। বিরোধী দলনেতার দফতর থেকে অধ্যক্ষের দফতরে পাঠানো হয়েছে নোটিস। এবং দ্রুত এই আবেদনের নিস্পত্তির আর্জি জানানো হয়েছে।
দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি
মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতেই একের পর এক বিজেপি নেতা তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যাঁরা ভোটের আগে গদ্দারি করেছে তাঁদের ফেরাবে না দল। মুকুল অনুগামী অনেকেই ফেরার চেষ্টা করবেন তাঁদের নিয়ে বিবেচনা করা হবে। বিজেপির এই উলট পূরাণ আটকাতে রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।