কি এই বুস্টার ডোজ?
করোনার মিউটেন্ট স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনেকদিন ধরেই বুস্টার ডোজের কথা বলছেন গবেষকরা৷ দুটি ডোজ ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হবার পর রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর জন্য আরও একটি ডোজ নেওয়ায় হল 'বুস্টার ডোজ'। সম্প্রতি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেল থককে এই বুস্টার ডোজের কথা ঘোষণা করেছে স্পুটনিক ভি
কিভাবে কাজ করে এই বুস্টার ডোজ?
ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়৷ শত্রুগুলিকে চিনে রাখে শরীরের কোষ, যাতে বাইরে থেকে একইধরণের শত্রু (ভাইরাস) আক্রমণ করলে অ্যান্টিবডি ঢাল তলোয়ার নিয়ে নেমে পড়ে৷ কিন্তু অনেক সময় দেখা যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শত্রু চিনে রাখার ক্ষমতা কমে যায় ভ্যাকসিন নেওয়া শরীরের কোষগুলির৷ তারপর করোনার মতো ক্ষেত্রে বারবার রূপ পরিবর্তন করে ভাইরাস, ফলে শত্রু চিনতেও অসুবিধে হয় কোষগুলির। সেই কারণেই বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয়। নতুন শত্রুর ছবি সহ বুস্টার ডোজ শরীরের অ্যান্টিবডি সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলে৷
বুস্টার ডোজ নিয়ে কী বলছে স্পুটনিক ভি?
রাশিয়ান ভ্যাকসিন সংস্থাটির দাবী এই বুস্টার ডোজ ডেল্টা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ কার্যকরী হবে৷ এবং স্পুটনিকের বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন অন্য ভ্যাকসিন নিয়েছেন এরকম মানুষও৷
কারা বানায় স্পুটনিক ভি
সারা বিশ্বে সবচেয়ে প্রথম রাশিয়া ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল স্পুটনিক ভি কে। সে দেশের রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর মেয়ে এই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন শুরুতেই৷ রাশিয়ার গামালিয়া সেন্টার এই ভ্যাকসিন বানায় এবং বাজারজাত করে ২০২০ সালের এপ্রিলে৷ তারপর থেকে প্রায় ৬৫ টি দেশ আপতকালীন পরিস্থিতিতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ভারতও যার মধ্যে একটি৷
ভারতে এই ভ্যাকসিন বানাচ্ছেন ডক্টর রেড্ডি গ্রুপ। তারা জানিয়েছে খুব শীঘ্রই পর্যাপ্ত পরিমানে বাজারজাত করা হবে এই ভ্যাকসিন।
স্বস্তি জনক রাজ্যের করোনা গ্রাফ, এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০১৮ জন