১১ জুন তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়
দীর্ঘ ৩ বছর নয়মাস বিজেপিতে কাটিয়ে ১১ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু। এরপর মুকুল রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে ৩৫ জন বিজেপি নেতার তালিকা তাঁর হাতে তুলে দেন বলে জানা গিয়েছে। যাঁরা নাকি তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মুকুল রায়ের অনুগামী, যাঁরা মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন।
বিজেপিতে থাকার সময় পেয়েছিলেন জেড প্লাস নিরাপত্তা
২০১৭-র নভেম্বরে বিজেপিতে যোগদানের পরে মুকুল রায় কোনও পদ না পেলেও তাঁকে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ দেওয়া হয়। তাঁর গুরুত্বও বাড়ে। সেই সময় তাঁকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকেও এই পর্যায়ের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া কথা জানানো হয়েছে।
জেড ক্যাটেগরিতে ২২ জন সিআরপিএফ জওয়ান থাকেন নিরাপত্তায়। এছাড়াও ৪-৫ জন এনএসজি কমান্ডোও থাকেন।
তৃণমূলে যোগদানের পরেই রাজ্যের নিরাপত্তা
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তৃণমূল সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, মুকুল রায়ের জন্য ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সেই মতো নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। পাশাপাশি মুকুল রায়ও জানিয়েছিলেন, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে তাঁর জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা
২ মে বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপরে হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যদি বিধায়করা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার চান, তাহলে তাঁদেরকে আবেদন জানাতে হবে। সেই মতো কোনও কোনও বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছিলেন। আবার শিলিগুড়ির শঙ্কর ঘোষের মতো কেউ কেউ বলেছিলেন, তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষই তাঁদের নিরাপত্তা দেবেন।