২০১৯ থেকে রাজ্যপাল ধনখড়
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয় জগদীপ ধনখড়কে। প্রায় শুরু থেকেই তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একেবারের শুরুর ঘটনাটি ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে। বিভিন্ন সময়ে তিনি রাজ্য সরকারের কাজের প্রতিবাদ করেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছেন। যা কোনওভাবেই পছন্দ করেনি রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের সর্বশেষ চিঠি নিয়ে প্রতিবাদ
দিল্লি যাওয়ার আগে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে চিঠি পাঠান। তবে তা একইসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ করে দেন। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যপাল চিঠি লিথেছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী লেখা চিঠি এভাবে প্রকাশ্যে আনা উচিত নয় বলেও জানিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র দফতর।
৩ দিনের সফরে দিল্লিতে রাজ্যপাল, পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের
১৫ জুন বিকেলে দিল্লি যাত্রার আগে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি ১৮ জুন বিকেলের পরে ফিরবেন। যা নিয়ে রাজ্যপালকে কড়া আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টুইটে তিনি লেখেন, আঙ্কেলজি জানিয়েছেন, তিনি ১৫ জুন দিল্লি যাচ্ছেন। কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, রাংলার রাজ্যপাল আমাদের জন্য এটুকু করবেন, আর ফিরবেন না।
দিল্লিতে ঠাসা কর্মসূচি রাজ্যপালের
দিল্লিতে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানা গিয়েছে। এদিন রাজ্যপাল তাঁর দিল্লি সফরের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে কখনও তিনি কয়লামন্ত্রী আবার কখনও তিনি পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি টুইট করেছেন।
পরবর্তী রাজ্যপাল করা হতে পারে আরিফ মহম্মদ খানকে
রাজ্যপালের এবারের দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। শোনা যাচ্ছে তাঁকে এই রাজ্যের দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে। কোনও কোনও মহল থেকে এও বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করা হতে পারে আরিফ মহম্মদ খানকে। একটা সময়ে রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী থেকে জনতা দল হয়ে পরে বিজেপিতে যোগ দেন। এই মুহূর্তে আরিফ মহম্মদ খান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠও বটে। কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে কেরল সরকারের বিরোধ সামনে এসে পড়েছিল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যদি শেষ পর্যন্ত আরিফ মহম্মদ খানকে যদি রাজ্যের রাজ্যপাল করাও হয়, তাহলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তিনিও স্বস্তিতে থাকতে দেবেন না।