কয়লা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল ধণখড়। বুধবার সকাল থেকে একের পর এক মন্ত্রকে ঘুরছেন তিনি। এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ হল কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে বৈঠক। তাঁর বাড়িতে সকালেই পৌঁছে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সকাল ৯.৪০ মিনিট থেকে বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক এই বৈঠক চলে। এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাংলাতে কয়লা কেলেঙ্কারির তদনন্ত করছে সিবিআই। তদন্তে একাধিক নাম উঠে এসেছে। এমনকি কার টাকা একাধিক তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কয়লা মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যটন মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকে ধনখড়
এরপর পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল। যান বঙ্গ ভবনেও। সেখানে মন্ত্রী সহ আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক ঘিরেও শুরু হয়েছে বিভিন্ন জল্পনা। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পর্যটনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
দিল্লিতে পা রেখেই বিস্ফোরক রাজ্যপাল
দিল্লিতে পা রেখেই ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল ধনখড়। ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন তিনি। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাজ্যপালের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্যে এমন সন্ত্রাস হয়নি। মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ ধনখড়ের। রাজ্যের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, হিংসা নিয়ে অবিলম্বে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করতে হবে, হিংসা বন্ধে ব্যর্থতার জন্য পুলিশ প্রশাসনকেও দায়ি করা হয়েছে।
রাজ্যপালকে নিশানা
অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফের নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি টুইটে রাজ্যেপালের দিল্লি যাওয়ার ঘটনাকে নিশানা করে লিখেছেন। শুনলাম আঙ্কেলজি দিল্লি যাচ্ছেন, তিনি যেন আর না ফেরেন।টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নিশানা করে টুইট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। কয়েকদিন আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনে কর্মী নিয়োগে স্বজন পোষণের অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূলে যাচ্ছেন না, জানিয়ে ঘাসফুল নেতাদের একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম