কলকাতা: খারাপ খবর টলিউডের জন্য। শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফিল্মি দুনিয়ায়। মন খারাপ সকল শিল্পীদের।
প্রয়াত হলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। শেষ হল ‘বেলাশেষে’-র গল্প। আজ দুপুরে প্রয়াত হন কিংবদন্তী শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সূত্রের খবর, বুধবার দুটো পয়তাল্লিশ নাগাদ শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন স্বাতীলেখা। ২২ মে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। টানা ২৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
তিনি চিরকাল নাট্যমঞ্চ এবং সিনেমা, দুই মাধ্যমেই তিনি সমান তালে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় সব সময়ই দাগ কেটেছে দর্শকমনে। তিনি সমৃদ্ধ করেছে বাংলার শিল্পকলারকে। ভারতীয় নাট্যজগতে তাঁর অবদানের জন্য সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন প্রায়ত অভিনেত্রী।
১৯৭০ সালে এলাহাবাদে নাট্যচর্চা শুরু তাঁর। ১৯৭৫ সালে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ঘরে বাইরে ছবিতে ‘বিমলা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সেই থেকে কাজ করেছেন বহু ছবিতে। ১৯৭৮ সালে নান্দীকার নাট্যদলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। সেখানেই আলাপ ও প্রেম হয় রুদ্রপ্রসাদ সেগুপ্তের সঙ্গে। তার পরে বিয়ে ও সংসার। সংসারের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন।
ছবির পাশাপাশি নাটকও করতেন সমান গুরুত্ব দিয়ে। কেরিয়ারের শুরুতে যেমন সাফল্য পেয়েছেন, তেমন কেরিয়ারের শেষ দিকেও। কেরিয়ারের শেষ দিকে তাঁর অভিনয় নজর কাড়ে সকলের। তিনি আরও একবার পরিচিতি পান শিবপ্রসাদ-নন্দিতার পরিচালনায়। ২০১৫ সালে ‘বেলাশেষে’-তে তাঁকে নতুনভাবে পায় বাঙালি দর্শক। ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেন। তাঁদের জুটি ও অভিনয়, দর্শকদের বাস্তব জীবনের সঙ্গে পরিচয় করান।
তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেন। ‘ঘরে বাইরে’ থেকে ‘বেলাশেষে’-সব ছবিতে দেখা গিয়েছে এই জুটি। কিছুদিন আগে মুক্তি পায় তাঁদের অভিনীত ‘বেলাশুরু’। এদিকে ‘ধর্মযুদ্ধ’ ছবিতে রাজ চক্রবর্তী পরিচালনায় কাজ করেছেন শিল্পী। তবে, ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তিনি চলে গেলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.