শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ!
সুনীল মণ্ডল মঙ্গলবার একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পর প্রথম আমার বাড়িতে আসে। তারপর আমায় যে কথা দেয়, আজ পর্যন্ত তার এক বর্ণও মানেনি। বলেছিল, দাদা-ভাই হয়ে একসঙ্গে কাজ করব। আর এখন সে ফোনও তোলে না। কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই সাংসদ! কার্যত তুলোধনা করে সুনীল বলেন, শুভেন্দু অধিকারী শুধু আমার সঙ্গে নয়, অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে। আমি ওঁর সম্বন্ধে কোনও কথা বলতে চাই না। আমার সঙ্গে এখন সম্পর্কও নেই ওর। তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
তৃণমূলে সুনীল!
তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক জল্পনা। তবে সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই চুপচাপ সুনীল মন্ডল। ইতিমধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। একাধিকবার এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই কার্যত কিছুটা চুপচাপ তিনি। পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই সুনীলকে নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়। এমনকি তিনি তৃণমূলে ফিরতে চান বলেও গুঞ্জন তৈরি হয়। যদিও এই প্রসঙ্গে সুনীল বলেন, বিষয়টি এখনও ভাবিনি। ভেবে দেখব।
মাথার ঠিক মতো হয়তো কাজ করছে না
সুনীল মণ্ডলের শাসকদলে ফেরার গুঞ্জন শুরু হতেই মুখ খুলেছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। তিনি বলেন, মাথার ঠিক মতো হয়তো কাজ করছে না। বিজেপিতে যাওয়ার আগে একাধিকবার দলের তরফে ওনাকে বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও কিছুতেই সেই সময় শুনতে সুনীল রাজি ছিলেন না বলেও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেণ দলের এই বর্ষীয়াণ সাংসদ। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যে সুনীল মণ্ডলের সাংসদপদ খারিজের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সাংসদ পদ খারিজের জন্যে একাধিকবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। উনি নিশ্চয়ই একটা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাবাদী দমদমের এই সাংসদ। তাই এখন সুনীল মণ্ডল কী বললেন তাতে খুব একটা কিছু হবে না বলেও দাবি তাঁর।
শুভেন্দু প্রসঙ্গে সৌগত
তিনি বলেণ শুভেন্দুর প্রসঙ্গে যতটা কম কথা বলা যায় ততই ভালো। তবে সুনীল মন্ডলের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংসদ বলেণ, দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে হয়তো শুভেন্দু কোণও আশ্বাস দিয়েছিলেন। টা রাখেনি বলেই এমনভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাংসদ।
ভাষা নিয়েও তোপ কেন্দ্রীয় নেতাদের
ভাষাগত সমস্যা নিয়ে সব্যসাচী দত্তের সুরেই সুর মিলিয়েছেন সুনীল। বিজেপি নেতাদের নিযে সুনীল মণ্ডল বলেন, ওনাদের বাংলা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। ওঁরা বাংলার কিছুই জানেন না। ভাষাগত দক্ষতা ছিল না। আর এখানকার মানুষ হিন্দি বুঝবে কী করে! গ্রামগঞ্জের মানুষ তো সেভাবে হিন্দি জানেনই না। অন্যদিকে তৃণমূল সরকারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন সুনীল। তাঁর দাবি, বিরোধী দল হয়ে বর্তমান সরকারকে ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না বিজেপি। এখন তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। তাই তৃণমূলকে কাজ করতে দিতে হবে। আর তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।