ভারতে করোনার দ্বিতীয় রূপ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার আগেই দেশের চিকিৎসা আধিকারিকদের এ নিয়ে সচেতন করেছিলেন ডঃ সুভাস সালুকে৷ মার্চের শুরুতেই নীতি আয়োগের চিকিৎসা আধিকারিকদের তিনি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের গ্রামের দিকে এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে৷ যা নিজের মধ্যে মিউটেশন ঘটিয়ে বেশি মাত্রায় সংক্রামক হয়ে উঠছে৷ রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালুকে জানিয়েছেন সেই সময় তাঁর কথায় গুরুত্ব দেয়নি কেউ!
ডঃ সুভাষের দাবি মতোই পরে মহারাষ্ট্রে খোঁজ মেলে করোনার মিউটেন্ট স্ট্রেন B.1.617 এর। দেশে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের জন্য এই মিউটেন্ট স্ট্রেনকেই দায়ী করা হচ্ছে৷ এই স্ট্রেনের আরও একটি থ্রিপল মিউটেন্ট স্ট্রেন হল, B.1.617.2 যেটি কোভিড ভ্যাকসিনের সুরক্ষা বলয়কেও ভাঙতে পারে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা৷ WHO করোনার এই ডেডলি ভ্যারিয়ান্টটির নাম দিয়েছে ডেল্টা। এবং সারা বিশ্বে পাওয়া করোনা স্ট্রেনগুলির মধ্যেই এটিকেই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে চিহ্নিত করেছে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কাদের সচেতন করেছিলেন ডঃ সালুকে?
প্রায় ৩০ বছর ধরে, ভারত, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়ায় চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে ডঃ সালু্কের। গত মার্চ মাসে নতুন কোভিড স্ট্রেন নিয়ে তিনি নীতি আয়োগের সদস্যদের সতর্ক করেছিলেন। নীতি আয়োগের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রধান করোনা পরামর্শ দাতা ডঃ ভি কে পালকে এই বিষয়ে টেলিফোনে জানিয়েছিলেন বলে রয়টার্সের সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন ডঃ সুভাষ। এর পাশাপাশি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রধান সুজিত কুমার সিং-কেও তিনি ফোনে এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন বলে সাক্ষাৎকারটিতে দাবি করেছেন ডঃ সালুকে৷
একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা, রইল শিয়ালদহ-হাওড়া ডিভিশনের প্রয়োজনীয় তথ্য
পাশাপাশি তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন ডেই সময় তাঁর বক্তব্য কর্ণপাত করা হয়নি৷ না হলে আরও ভালোভাবে এই পরিস্থির মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল। যদিও ডঃ সালুকের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডঃ পাল। তাঁর সঙ্গে সালুকের ফোন কলের কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, আমাকে ফোন করে কিছু নতুন তথ্য দিয়েছিলেন সালুকে৷ কোনও আশঙ্কা প্রকাশ করেননি৷ আমি ওঁর দেওয়া তথ্যগুলি পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে জানিয়েছিলাম। ওরা সেই মতো তথ্য পর্যালোচনা শুরুও করে।