বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না
বিজেপির তরফে এই বিষয়ে চাপ দেওয়া হলেও এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না মুকুল রায়। এই বিষয়ে কার্যত প্রকাশ্যে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে মুকুল রায় বলেন, এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। উল্লেখ্য, বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে এবার বিধায়ক হয়েছেন মুকুল রায়। আর এরপরেই দলবদল করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে মুকুল রায়। আর দলবদল করতেই বিধায়ক পদ ছাড়ার দাবি উঠেছে বিজেপির তরফে। যদিও সেই দাবি নিজেই খারিজ করে দিয়েছেন মুকুল!
শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ
বিরোধী দলনেতা হিসাবে মুকুল রায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, গত ১০ বছর ধরে দল ভাঙানোর খেলা খেলেছে তৃণমূল। ভোট মিটতেই সেই খেলা শুরু করেছে তৃণমূল। তবে এখানেই শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ আর দল ভাঙতে পারবে না। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই দলত্যাগ বিরোধী আইন রাজ্যে লাঘু করা হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে মুকুল রায়কে দ্রুত বিধায়ক পদ ছাড়ার কথা বলেণ শুভেন্দু। এই বিষয়ে স্পিকারকে চিঠি দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। তাও কাজ না হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও কথা বলেন শুভেন্দু।
আবেদন দিলীপেরও
শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নয়, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, "উনি একজন সিনিয়র নেতা। তাঁকে লোকে বিশ্বাস করে, আস্থা করে ভোট দিয়েছিলেন। সেই জন্য উদাহরণ প্রস্তুত করা উচিত। দল ছেড়ে দিয়েছেন, বিধায়ক পদও ছেড়ে দেওয়া উচিত।" শুধু বিধায়ক পদই নয়, বিজেপির সদস্য পদও ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুকুল রায়ের কাছে আবেদন দিলীপ ঘোষের। তবে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে একমত দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন তো ভারতের সংসদে পাস হয়েছে। সবার জন্য লাগু। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য এই ধরনের আইন পাস হয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে এতদিন হয়নি, এবার হবে বলে হুঙ্কার দিলীপের।
কেউ যাবে না
তৃণমূলে মুকুল ফুটতেই দল ভাঙ্গানোর খেলা শুরু করে দিয়েছেন মুকুল। তিনি ইতিমধ্যে ১০ বিধায়ক সহ দুই সাংসদকে ফোন করেছেন বলে খবর। মোট ৩৫ জন বিজেপি নেতা তৃমুলে যোগ দেবেন বলেও খবর। যদিও দিলীপ ঘোষের আত্মবিশ্বাস কেউ বিজেপি ছেড়ে যাবেন না।
শুভেন্দুর সঙ্গে কথা হয়নি, বিজেপি নেতার দিল্লি সফরের পর আরও এক বিষয়ে 'অজ্ঞাত' দিলীপ