এখনও দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। প্রত্যেকদিনই বহু মানুষ মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই অবস্থায় ফের তৃতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা গবেষকদের। এখন থেকেই সাবধান হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
এই অবস্থায় জোর প্রস্তুতি গোটা দেশজুড়ে। চিকিৎসকমহলের একাংশের মতে তৃতীয় ওয়েভে সবথেকে বেশি শিশুরাই আক্রান্ত হবে। এই বার্তায় নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে ডিআরডিও'য়ের তৈরি করোনার ওষুধ।
দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনার ওষুধ তৈরি করে ডিফেন্স রিসার্চ এবং ডেভালপমেন্ট ওরগানাইজেশন অর্থাৎ ডিআরডিও। ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে এই ওষুধের ছাড়পত্রও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসাতে ডিআরডিও-য়ের তৈরি ওষুধ যথেষ্ট কার্যকর এখনও পর্যন্ত।
তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা আরও আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে এই ওষুধকে নিয়ে। সমীক্ষা বলছে, করোনাভাইরাসের সব ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করবে ২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ (২-ডিজি)।
গবেষণা বলছে, কোষের মৃত্যু আটাতে পারে এই ওষুধ। এছাড়া ভাইরাসের অভিযোজন ক্ষমতা যাতে কমে, তারও দাওয়াই এই ২-ডিজি তাই চিকিৎসা চলাকালীন এই ওষুধ ব্যবহার করা সম্ভব। সম্প্রতি একটি গনেষণাপত্রে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা পত্র লিখেছেন অনন্ত নারায়ণ ভাট, অভিষেক কুমার, যোগেশ রাই, ধিভিয়া বেদাগিরি ও আরও কয়েকজন গবেষক ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি জানিয়েছেন, এই ওষুধে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যাতে ২-ডিজি করোনা আক্রান্তের শরীরে ভাইরাসের বৃদ্ধি আটকানোর ক্ষমতা রাখেম। তিনি আরও দাবি করেছেন, এই ওষুধ অত্যন্ত সহজেই উৎপাদন ও মজুত করা যায়।
গত ১৭ মে এই ওষুধের প্রথম ব্যাচের উদ্বোধন করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তবে এখনও এই ওষুধ বাজারে আসেনি। ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরিজ এই ওষুধ বাজারে আনবে।
বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা চলছে। ওষুধের এক প্যাকেটের দাম রাখা হচ্ছে মাত্র ৯৯০ টাকা। যা সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই। ডিআরডিও জানিয়েছে এটি একটি পাউডারের মতো ওষুধ। জলে গুলেই খেতে হবে ২ ডিজি।