সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জটিলতা
সাঁইবাড়ি নিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট আর তা নিয়ে প্রতিবাদ কংগ্রেসের। বিকাশ ভট্টাচার্য ইতিহাসের কথা তুলে ধরলেও মীনাক্ষী বলেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টের কথা তিনি জানেন না। বিষয়টি নিয়ে বিকাশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কংগ্রেসের তরফে যেমন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেই বিষয়টি বামফ্রন্টের বৈঠকে উঠে আসে। ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো দল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তুলেছে আগে থেকেই। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেন বামফন্ট্র চেয়ারম্যান বিমান বসু।
কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত
বামফ্রন্টের বৈঠকে পেট্রোপণ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ২৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কেন্দ্র বিরোধী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জোট শরিক কংগ্রেসকে। যা নিয়েই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। সারা দেশেই কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক রাজ্যে এই আন্দোলন শুরুও হয়েছে।
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বামফ্রন্টের বাইরের দলগুলিকেও
বামফ্রন্টের এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বামফ্রন্টের বাইরের একাধিক বামদলকেও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সিপিআইএমএল এবং পিডিএস। অথচ গত বিধানসভা ভোটে এইদলগুলির আবেদনকে গ্রাহ্যই করেনি বামফ্রন্ট।
ক্রাচ ছাড়ার দাবি তুলেছিল ফরওয়ার্ড ব্লক
বামফ্রন্টের বৈঠকের আগেই সুর চড়িয়েছিল গত ৪৪ বছরের বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। তারা দাবি তুলেছিল জোট থেকে আইএসএফ এবং কংগ্রেস নামক দুই ক্রাচকে সরাতে হবে। কেননা কংগ্রেস হল বাজার অর্থনীতির প্রবক্তা আর আইএসএফ হল সাম্প্রদায়িক। ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে বলা হয়েছে, বামফ্রন্ট দীর্ঘদিন মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছে। কিন্তু বামেরা এই ক্রাচকে নিয়ে লড়াই করেছে বলেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়।