ফিরিয়ে দিলেন পাল্টা ‘আঘাত’, চিরাগ চালেই যেন ফের নিজের ‘জাত’ চেনালেন নীতীশ

নীতীশের চক্রবূহ্যে কার্যত দিশেহারা চিরাগ পাসওয়ান। লোক জনশক্তি পার্টিতে পাঁচ সাংসদের বিদ্রোহের হাত ধরে বর্তমানে অনেকটাই কোণঠাসা চিরাগ। এমনকী কাকা পশুপতি পারসের চালেই দলের মধ্যে থেকেও একঘরে হয়ে গিয়েছেন রামবিলাস পুত্র। অন্যদিকে পশুপতিই আবার ইতিমধ্যেই লোকসভায় এলজেপি-র মুখ্য নেতা নির্বাচিত হয়েছে। তবে এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের পিছনে জেডিইউ-র হাত রয়েছে বলে মত চিরাগ শিবিরের।

কবে থেকে ঘুঁটি সাজাচ্ছে জেডিইউ ?

এদিকে সাত মাস আগে হয়ে যাওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সাড়া জাগিয়েও কার্যত ধরাশায়ী হয়েছিল এলজেপি। আর ঠিক তখন থেকেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে নীতীশ শিবির। এদিকে গত নির্বাচনে নীতীশকে বেকায়দায় ফেলতে রীতিমতো উঠেপড়ে গেলেছিল এলজেপি। পুরনো জোটসঙ্গীর প্রকাশ্যের চলছিল নিন্দা। যার জেরে বিপির সঙ্গে জোটের রাস্তায় হাঁটলেও সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি জেডিইউ।

নীতীশ কাঁটায় বিদ্ধ এলজেপি

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে পুরনো সুপ্ত রাগ থেকেই বর্তমানে ঘাতকের ভূমিকায় ফিরে এসেছে নীতিশ কুমার। এমনকী এই ক্ষেত্রে নীতীশের মূল হাতিয়ার এলজেপি-র একমাত্র বিধায়ক রাজু সিং। কিছুদিন আগে তারও দখল নিয়ে নেয় জেডিইউ। আর ঠিক সেই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় ঘুঁটি সাজানোর কাজ। বিহারের রাজনৈতিক ময়দানে ভোট পরবর্তী সময়ে এই নীতীশের সবথেকে বড় চাল বলে মনে করা হচ্ছে।

চিরাগের ছুরিতেই ভোটে শক্তিক্ষয় নীতীশের ?

এদিকে সাংগঠনিক শক্তি ও আসন প্রাপ্তির নিরিখেও ধারে ভারেও বিজেপির ধারে কাছে আসেনি জেডিইউ। এমনকী নীতীশের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েও তৈরি হয় দোলাচল। অনেকেই বলতে থাকেন পদ্ম শিবিরের কাছেই কার্যত বিক্রি হয়ে গিয়েছেন নীতীশ কুমার। ভেঙে গেছে মেরুদণ্ড। যদিও ভোটে খারাপ ফলের পিছনে শুরু থেকেই চিরাগের পিছন থেকে ছুঁরি মারাকেই কাঠগড়ায় তুলেছিল নীতীশ শিবির।

জাত চেনালেন নীতীশ

সেই পুরনো রাগ থেকেই চিরাগের কোমর ভাঙতে উঠে পড়ে লাগে জেডিইউ। এমনকী চিরাগের কাকা পশুপতির মুখেও শোনা যায় নীতীশ প্রশস্তি। অন্যদিকে জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিং ও বিহার বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার মাহেশ্বরী হাজারিও এলজেপি-র এই ভাঙনে বড় ভূমিকা নেন বলে জানা যায়। আর এই কূটনৈতিক চালেই যেন নীতীশ আবার জাত চেনালেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এক নজরে শেষ বিহার ভোটের ফলাফল

এদিকে বর্তমানে চতুর্থবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন নীতীশ কুমার। কিন্তু সেখানেও যেন ফুটে গেল অস্বস্তির কাঁটা। শেষ নির্বাচনে জেডিইউ ৪৩ টি আসনে জয়লাভ করে। ১৫.৩৯ শতাংশ ভোট পায়। সেখানে রাজ্যে বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল তথা নীতীশের পুরনো বন্ধু লালুর আরজেডি একক ক্ষমতায় জেতে ৭৫টি আসন। ভোট পায় ২৩.১১ শতাংশ। নীতীশের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি জেতে ৭৪টি আসন। ভোট পায় ১৯.৪ শতাংশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই পটভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেও কার্যত বিজেপির হাতের পতুল হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছিলেন নীতিশ। বর্তমানে এলজেপি চালে ফের নিজেকে যেন জাহির করতেই মাঠে নামলেন এই দুঁদে রাজনীতিবিদ।

'আমরা' হলেন শোভন-বৈশাখী! কীভাবে অন্যের স্ত্রী অন্য আরেকজন পুরুষের নাম ব্যবহার করতে পারেন? প্রশ্ন রত্নার'আমরা' হলেন শোভন-বৈশাখী! কীভাবে অন্যের স্ত্রী অন্য আরেকজন পুরুষের নাম ব্যবহার করতে পারেন? প্রশ্ন রত্নার

More JDU News  

Read more about:
English summary
Nitish Kumar seems to be in glory again after hitting the cornered LJP