কেউ যাবে না
ঘর ভাঙতে পারে! এই আশঙ্কাতে রয়েছে বিজেপি। মুকুল রায় দল ছাড়তেই বিভিন্ন জায়গাতে দল ছাড়ার হিড়িক। এমনকি অনেকেই দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকেও অংশ নিচ্ছেন না। যদিও একজন দল ছেড়ে যাবে না বলে আত্মবিশ্বাস দিলীপ ঘোষের। তবে এদিন ফের একবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ২০১৯ এর পর অনেকেই দল ছেড়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা থাকতে পারছেন না। কিছু ক্ষমতালোভী মানুষই ছেড়ে যাচ্ছে। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। যে লক্ষ্যে দল এগোচ্ছে সেদিকেই এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ।
আইন সবার জন্য লাঘু
দলত্যাগ বিরোধী আইন সবার জন্য লাঘু। এটা অনেকটাই স্পিকারের উপর নির্ভর করে। সিপিএম-কংগ্রেস এই বিষয়ে মামলা করেছিল। কিন্তু স্পিকার কোনও সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। তবে এক্ষেত্রে তা হবে না। দলত্যাগ বিরোধী আইন সংবিধান স্বীকৃত। এই আইন বাংলাতে কার্যকর হবে বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উল্লেখ্য, সোমবার শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে ধনখড় বলেন, "আমি জানতে পারলাম গত দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগই করা হয়নি। আমি আশ্বস্ত করছি, পশ্চিমবঙ্গে ওই আইন পুরোদমে কার্যকর করা হবে। আমি নিশ্চিত করব যাতে কার্যকর হয়। কেউ আইনের নাগালের বাইরে নয়।
মুকুল প্রসঙ্গে দিলীপ
বিধায়ক পদ না ছাড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে! মুকুল রায় প্রসঙ্গে গত ২৪ ঘন্টা আগে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত তাঁকে সমর্থন করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন। মুকুলদা বর্ষীয়ান নেতা। অবশ্যই এই বিষয়টি নজর রাখা উচিৎ।
মুকুল রায়কে পুরনো দায়িত্বে ফেরাতে পারে তৃণমূল, বিজেপির তুলনায় আরও বেশি দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা
বেশি চর্বি জমে গেলে দেখতে ভাল লাগে না
দলবদল প্রসঙ্গে সোমবারই দিলীপ ঘোষ বলেন, বেশি চর্বি জমে গেলে দেখতে ভাল লাগে না। চর্বি ঝরছে এটা ভাল। নাম না করে মুকুল রায়কেও আক্রমণ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অন্যদিকে তিনি বলেন, ভোটের আগে বিজেপিতে ১০০ জন বিধায়ক আসবে বলে গুজব ছড়িয়েছিল। এবার বিজেপি ছেড়ে ৩৫ জন বেরিয়ে যাচ্ছে বলেও গুজব রটেছে। উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক-মন্ত্রী যোগ দেন বিজেপিতে। দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমরা এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম। খানিকটা সফল হয়েছি। খানিকটা হইনি। কোনটা কাজে লাগেনি সেটা বুঝতে হবে।" উল্লেখ্য মঙ্গলবার দল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যখন নিয়েছিলাম তখন অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। এখন কাকে তৃণমূল নেবে আর নেবে না সেটা তৃণমূলের ব্যাপার বলে মন্তব্য দিলীপের।