কলকাতা: সরকারি হাসপাতালে (Govt. Hospital) অক্সিজেনের ব্যাপক অপব্যবহার। স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রয়োজনে অক্সিজেন পাচ্ছে না রোগী। কিন্তু যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন নেই তাদের দেওয়া হচ্ছে লিটার লিটার অক্সিজেন (Oxygen)। এমনই একগুচ্ছ বেনিয়ম এবং গাফিলতির ঘটনা সামনে এল রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষকরা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে (Hospital) পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তখনই তাদের চোখে পড়ে বেশ কিছু বেনিয়মের ঘটনা। জানা গিয়েছে, রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার পর তা অপচয়ও হচ্ছে। যাদের অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই তাদের অত্যাধিক পরিমাণ অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে যে রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন, তাঁর অক্সিজেন দেওয়া আদৌ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ যে রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন, যে ছটফট করছে অক্সিজেনের জন্য তিনিই তো ঠিকমতো অক্সিজেন পাচ্ছেন না। সেই বেনিয়মই সামনে এল স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণের সময়।
অন্যদিকে, হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার আনার পর সেই সিলিন্ডারে কত পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে সেসব নিয়ে হাসপাতালে ঠিকমতো রেজিস্টার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পাশাপাশি হাসপাতালের সেন্ট্রাল লাইনের সঙ্গে যখন অক্সিজেন সিলিন্ডার যোগ করা হয় সেই যোগ করার পর অক্সিজেন কী মাত্রায় বেরোচ্ছে তার নজরদারি এবং তার রেকর্ড রাখার পিছনেও গাফিলতি লক্ষ করেছেন পর্যবেক্ষকরা।
এমনই একগুচ্ছ গাফিলতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এবং সমস্ত হাসপাতালের আধিকারিকদের এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অক্সিজেনের অপচয় রুখতে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
সেখানে হাসপাতালের ইনচার্জ, নার্স থেকে অন্যান্য কর্মীদের আলাদা আলাদা করে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও অক্সিজেন অপচয়ের ঘটনা সামনে এসেছিল। সেবার অক্সিজেনের অপচয় রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। কীভাবে অক্সিজেন সাশ্রয় করে সঠিক চিকিত্সা করা হবে, তার একটি রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে কোন পরিস্থিতিতে, কীভাবে, কতক্ষণ অক্সিজেন দিতে হবে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.