৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন। আগের পর্বের তুলনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হলেও এখনও খুলবে না স্কুল, কলেজ কিংবা অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে, বাচ্চাদের অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনার পন্থাই বজায় থাকবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতটা জরুরি তা অভিভাবকরা বুঝলেও বাচ্চাদের বোঝানো বেশ কঠিন। প্রায় ২ বছর হতে চলল তারা বাড়িতে বন্দী। খেলার মাঠ, বন্ধু-বান্ধব, সুইমিং ক্লাস, খেলার ক্লাস এমন সব কিছু থেকেই দূরে। স্কুলে গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করা, টিফিন শেয়ার করা কিংবা খুনসুঁটি করার আনন্দগুলো আজ তারা ভুলতে বসেছে। এই অবস্থায় বাচ্চাকে বাড়িতে রাখাটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ধৈর্য বজায় রাখা এত সহজ কথা নয়। শুধু ধৈর্য নয়, তাদের মন ভালো রাখাও বেশ কঠিন।
করোনা পরিস্থিতিতে গৃহবন্দী অবস্থায় কীভাবে বাচ্চার মন ভালো রাখবেন তা জেনে নিন মনোবিদের থেকে। মনোবিদ পল্লবী রায় (Psychologist Pallabi Roy) দিলেন বাচ্চার মন ভালো রাখার ওষুধের খোঁজ। জানালেন,
১. এই করোনা পরিস্থিতিতে বাচ্চাকে সময় দিন। তার সঙ্গে গল্প করুন, সিনেমা দেখুন, কার্টুন দেখুন কিংবা কোনও ইন্ডোর গেমস খেলুন। এতে বাচ্চার মন ভালো থাকবে।
২. প্রতিটি বাচ্চার আলাদা আলাদা ইন্টারেস্ট জোন (Interest Zone) থাকে। কেউ আঁকতে ভালোবাসে, কেউ গান করে, কেউবা নাচের প্রতি আগ্রহী। এই সময় বাচ্চাকে এই ধরনের বিষয়ে উৎসাহ করুন।
৩. বাচ্চাকে গল্পের বই পড়ানোর অভ্যেস করান। বই পড়ায় তার আগ্রহ তৈরি করুন। এখন বাচ্চারা কমপিউটার ও ফোনেক মাধ্যমে পড়াশোনা করতে অভ্যস্ত। গল্পের বই পড়লে মন ভালো থাকবে।
৪. ভিডিও কলের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করান। বন্ধুকে দেখলে বাচ্চার মন ভালো থাকবে।
৫. বাচ্চাকে নতুন কিছু শেখান। শিখতে উৎসাহ দিন। এতে তার মন ভালো থাকবে।
৬. নিয়ম করে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি করান। যোগা, ব্যায়াম থেকে শুরু করে নানান ইন্ডোর অ্যাক্টিভিটি আছে যা বাচ্চার মন ভালো রাখবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.