ডোমজুড়, কোন্নগর: প্রবীর-রাজীবকে চায় না তৃণমূল কর্মীরা। এদিন আবার দুজনের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ডোমজুড় এবং কোন্নগরে। রাজীবের বিরুদ্ধে বুধবার ডোমজুড়ের জগাছা ব্লকে পড়ে পোস্টার। সেখানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে লেখা, “মীরজাফর রাজীবকে দলে নেওয়া চলবে না”।
অন্যদিকে হুগলির কোন্নগরেও প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূলে নেওয়া যাবে না।’ কোন্ননগরের বিভিন্ন এলাকায় এই পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে যায়।

রাজীবের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা যেদিন থেকে তৈরি হয়েছে, সেদিন থেকেই হাওড়ার সলপ, ডোমজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশ কিছুতেই এই প্রত্যাবর্তন মেনে নিতে পারবে না বলে পোস্টার লাগাতে শুরু করে। দলের অসময়ে রাজীব তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিজেপি-তে (BJP) যোগদানের পর তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপর মারধর করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই এই বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হয়েছেন বলে জানান তৃণমূলের এক নেতা।

অন্যদিকে, উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের (Prabir Ghosal) বিরুদ্ধেও পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ হচ্ছে হুগলির কোন্নগর। সেখানকার কর্মীদের একাংশও যে তাঁকে চায় না, তা এই পোস্টারে স্পষ্ট। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন প্রবীর। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর বেসুরো গেয়েছিলেন প্রবীর ঘোষালও। তখন থেকেই জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি তিনিও তৃণমূলে ফিরতে চান? এসব নানা অজানা প্রশ্নের মাঝেই প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। তাতে লেখা, ‘মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূলে নেওয়া যাবে না।’

তবে প্রবীরের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব জানান, এই ধরণের পোস্টারে দলের কোনো অনুমোদন নেই। তৃণমূলে কে ফিরবেন, কে ফিরবেন না তা সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়া এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যাই-ই বলুক। প্রবীরের ফেরা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ যে ক্ষোভে ফুঁসছে তা কিন্তু বলা যেতেই পারে। অন্যদিকে রাজীবের প্রত্যাবর্তনের জল্পনাও তুঙ্গে। এই জল্পনার মাঝেই ডোমজুড়েও মাঝেমধ্য়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। পড়ছে পোস্টারও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.