১১ জুন টুইট করেন শুভেন্দু
গত ১১ জুন টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ২০১৮ সাল থেকেই বিনয় মিশ্র সম্ভবত ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। ওই একই ব্যক্তিকে ২০২০ সালে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি প্রশ্ন করেন, একজন বিদেশি কি দেশের কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ হতে পারেন?
বিনয় মিশ্রের দাবি
আইনজীবীর মাধ্যমে বিনয় মিশ্র দাবি করেছেন, ২০২০-র ২৩ জুলাই তাঁকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। ২০২০-র ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি দেশ ছাড়েন। তারপরেই সিবিআই তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে বলে জানিয়েছেন বিনয় মিশ্র। তাঁর আরও দাবি ২০২০-র ১৯ ডিসেম্বর তিনি ভারতের পাসপোর্ট জমা করে দেন। তার আগেই অবশ্য তিনি তৃণমূলের পদও ছেড়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি ১৯ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদন করেন। সেখানে বিনয় মিশ্রের দুবাইয়ের একটি ঠিকান ও ফোন নম্বর উল্লেখ করা ছিল বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। এর পরে ২২ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাস পাসপোর্ট জমার সার্টিফিকেট ইস্যু করে।
বিনয় মিশ্রের আইনজীবীর দাবি
বিনয় মিশ্রের আইনজীবী দাবি করেছেন, বিনয় মিশ্র ভারতীয় পাসপোর্ট পেয়েছিলেন ২০১৮-র ৫ সেপ্টেম্বর। তিনি দাবি করেছেন ২০১৮-তে বিনয় মিশ্র ভারত আছাড় অন্য কোনও দেশের নাগরিক ছিলেন না। প্রসঙ্গত গরুপাচার ছাড়াও কয়লাপাচারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। দেশে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। সিবিআই তাকে খুঁজে বেরাচ্ছে।
টুইট মোছার দাবি
বিনয় মিশ্রের আইনজীবী চিঠি দিয়েছেন, লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগেও। একইসঙ্গে টুইটার কর্তৃপক্ষকেও নোটিশ দিয়ে ১১ জুনের টুইটটি মুছে ফেলার দাবি করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, ওই টুইটের মাধ্যমে মিথ্যাপ্রচার ও ইমেজে কালি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্বেশ ছড়ানোর চেষ্টারও অভিযোগ করেছেন বিনয় মিশ্র।