ঘটনা ২০১২ সালের। যে সময় কেরলের উপকূলে ইতালির নাবিকদের গুলিতে নিহত হন ভারতের কয়েকজন মৎস্যজীবী। সেই ঘটনায় মৎস্যজীবীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আগেই জমা করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। আর তা জমা হতেই এই মামলা বন্ধ হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। এই ক্ষতিপূরণের অর্থ ছিল ১০ কোটি টাকা।
]
এর আগে কেন্দ্রের তরফে ইতালির নাবিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়। সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এসকে বোবদে,বিচারপতিদ্বয় এএস বোপান্না, ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ আগেই জানয়েছে যে যতক্ষণ না কেরলের ২ নিহত মৎস্যজীবীর অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা আসছে ততক্ষণ এই বিষয়ে কেন্দ্রের আর্জি শোনা হবে না। এরপর ক্ষতিপূরণের ১০ কোটি টাকা নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারে যেতেই এই মামলা বন্ধ হল। মূলত ২০১২ সালে স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোনের মধ্যে মাছ ধরছিলেন ওই দুই মৎসজীবী। সেই সময় তাঁদের আচমকাই গুলি করা হয়।
ইতালিয় তেলের ট্যাঙ্কার এমভি এনরিকে লেক্সি থেকে এই গুলি চালানো হয়। গুলির জেরে মুহূর্তে ঝাঁঝরা হয়ে যান নিরস্ত্র মৎস্য়জীবীরা। পরবর্তীকালে দুই ইতালিয় নাবিককে গ্রেফতার করা হয়। চলে বিচার। ইতালির পক্ষের দাবি ছিল যে কিছু বুঝতে না পেরে এই গুলি চালানো হয়েছে। ঘটনা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকডত। কিন্তু ইতালির নাবিকদের এই 'অনিচ্ছাকৃত' ভুলের জেরে যে ভারতের দুই নিরস্ত্র মৎস্যজীবীর প্রাণ গিয়েছে , তার হাহাকার কার্যত কেরলে বহুদিন ধরেই থাকবে, বলে বহু সমালোচক মত প্রকা করছেন।