কোপা আমেরিকায় আবার চিলি কাঁটায় বিদ্ধ হল আর্জেন্তিনা। গোল করেও দেশকে জেতাতে পারলেন না লিওনেল মেসি। ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল নীল-সাদা জার্সিধারীদের। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ উপভোগ্য হলেও একাধিক গোলের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট আর্জেন্তিনার ফুটবল ফ্যানরা। টুর্নামেন্টের গ্রুপ লিগের বাকি ম্যাচগুলিতে তাঁরা ফুটবলারদের থেকে আরও ভাল পারফরম্যান্স চান।
২০১৫ এবং ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও চিলির কাছে হারতে হয়েছিল আর্জেন্তিনাকে। ফলে কার্যত বদলার আবহে চিলির বিরুদ্ধে এবারের বি গ্রুপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন যে তিনি কাপ জিততে মরিয়া। আন্তর্জাতিক ইভেন্ট থেকে দেশকে সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ এলএম টেনের কাছে এবারের কোপা অগ্নিপরীক্ষাও বটে। তা বুঝে মেসির নেতৃত্বে ম্যাচে বহু চেষ্টা করেও সফল হয়নি আর্জেন্তিনা।
রিও দি জেনেইরোর এস্তাদিও অলিম্পিকো নিল্টন সান্তোস স্টেডিয়ামে চিলির বিরুদ্ধে কোপা আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন আর্জেন্তিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। একই ছকে দল সাজিয়ে মেসিদের কাজ কঠিন করে দিয়েছিলেন চিলির কোচ মার্টিন লাসারতে। ফলে ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়। আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণে মোকাবিলা টানটান হয়ে ওঠে।
মেসি, মার্তিনেজ এবং গঞ্জালেসকে সামনে খেলানোর ফল প্রথমার্ধেই পেয়ে যান আর্জেন্তিনার কোচ। দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় ম্যাচের ৩৩ মিনিটেই প্রথম গোলটি পায় নীল-সাদা জার্সির শিবির। গোল করেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধের অবশিষ্ট সময়ে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি চিলি। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্তিনাও। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোল করার জন্য আরও হন্যে হয়ে ওঠে।
৫০ মিনিটের পর আক্রমণে চাপ বাড়ায় চিলি। ৫৬ মিনিটের মাথায় একটা পেনাল্টিও পেয়ে যায় তারা। স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আরতুরো ভিদাল। ফিরতি বলে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান চিলির এদুয়ার্দো ভার্গাস। এরপর ম্যাচ আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠলেও কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। গোলের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দুই দলের ফুটবলাররা। তবে এতে হতাশ না হয়ে আগামী ম্যাচের দিকে মনোসংযোগ করতে চান আর্জেন্তাইন কোচ। ফিরে আসতে মরিয়া লিওনেল মেসিরাও।