বিহারের পর এবার উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক ময়দানেও নতুন মোড়। বাংলার দলবদলের সংক্রামক রোগের ছায়া এবার যোগী রাজ্যেও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রীতিমতো চাপে পড়লেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতীর। একযোগে দল ছাড়লেন ৯ বিধায়ক। এই ঘটনার রেশ ধরেই তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, বিএসপি ছেড়ে খুব দ্রুত তারা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বার্তালাপও চলছে বলে জানা যাচ্ছে। লখনৌয়ের পার্টি অফিসে বৈঠকও ডাকা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিকে মায়বতীর ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেই বর্তমানে এই নয় বিধায়ক দল ছাড়লেন বলে জানিয়েছেন। যদিও আসন্ন বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে এর পিছন অখিলেশের গোপন অভিসন্ধি রয়েছে বলে মত বিএসপি শিবিরের।
এদিকে দলত্যাগী নয় বিধায়কের তালিকায় রয়েছেন হাকিম লাল বিন (হান্দিয়া), বন্দনা সিংহ (সাগরী), রামবীর উপাধ্যায় (সাদাবাদ), অনিল কুমার সিংহ (পূর্ব), আসলাম রায়নী (ভিংগা), আসলাম আলী (ধোলনা), মুজতবা সিদ্দিকী (প্রতাপুর), হরগোবিন্দ ভরগবা (সিধৌলি) এবং সুষমা প্যাটেল (মুংরা বাদশাহপুর)। সূত্রের খবর, এদের মধ্যেই অনেকের আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএসপি-র তরফে টিকিট পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
শুভেন্দুকে জানালেও উত্তর দেননি, আহত বিজেপি কর্মীর ছবি রিটুইট করে অন্তর্কলহ ফের সামনে আনলেন তথাগত
আর সেই আঁচ পেয়েই অনেকে দল ছাড়লেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে একযোগে নয় বিধায়কের দলত্যাগে মায়বতী শিবিরে যে বড় ধাক্কা লাগবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে দলত্যাগী বিধায়কদের নিয়ে এথনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি বিসএপি-র তরফে। অন্যদিকে লখনৌয়ের বৈঠক শেষ না হলেও বোঝা যাচ্ছে না সমাজবাদ পার্টিতে নয় বিধায়কের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে।