সেভিয়া: ৮৬ শতাংশ বল পজেশন, ৯১৭টা পাস (যার মধ্যে ৯০ শতাংশ সঠিক), গোল লক্ষ্য করে ১৭টা শট। এরপরেও কোনও দল যদি গোল করতে না পারে তবে ধরে নিতে হবে চরম মন্দ ভাগ্য, স্ট্রাইকারদের গোল নষ্টের প্রদর্শনী কিংবা বিপক্ষের জেদের কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট দলকে। সোমবার ইউরোর(Eueo 2020) প্রথম ম্যাচে স্পেনের(Spain) পয়েন্ট খোয়ানোর পিছনে কাজ করল ঠিক এই কারণগুলোই।
সুইডেনের(Sweden) বিরুদ্ধে ইউরো শুরুর ম্যাচে গোলশূন্য ড্র স্প্যানিশ আর্মাডার। চলতি ইউরোয় প্রথম ন’ম্যাচে যেখানে গড়ে প্রায় তিনটি করে (২৪) গোল হয়েছে সেখানে এদিন সুইডেনের জালে একটিও বল জড়াতে পারলেন না আলভারো মোরাতা(Alvaro Morata), ফেরান তোরেসরা(Ferran Torres)। অন্যদিকে শুরু থেকেই রক্ষণে ৭-৮ জনের ভিড় বাড়িয়ে স্পেনের আক্রমণ ভোঁতা করার চেষ্টায় ছিল সুইডিশরা। তবুও প্রচুর সুযোগ তৈরি হল ম্যাচে। ১৬ মিনিটে কোকের(Koke) ক্রস থেকে ড্যানি ওলমোর(Dani Olmo) হেড দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে রক্ষা করেন রবিন ওলসেন(Robin Olsen)।
এরপর কয়েকটি ক্ষেত্রে গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন কোকে। আধিপত্য নিয়ে খেলেও গোল করতে না পারায় হতাশা বাড়তে থাকে স্পেন শিবিরে। ৩৮ মিনিটে সেই হতাশা আরও বাড়িয়ে তোলেন আলভারো মোরাতা। আলবার(Jordi Alba) সাজানো বল ধরে বক্সে কেবল সুইডিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে হত। কিন্তু সেই সুবর্ণ সুযোগ বড়লোকের বাউণ্ডুলে ছেলের ন্যায় নষ্ট করেন তিনি। সাইডলাইনে হাত-পা ছুঁড়তে থাকেন এনরিকে(Luis Enrique)। বিরতির আগে প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল করে নায়ক বনে যেতে পারতেন সুইডেনের আইস্যাক(Alexander Isak)। কিন্তু গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও আইস্যাকের শট ল্যাপোর্তে(Aymeric Laporte) কার্যত গোললাইন সেভ করেন। পোস্টে প্রতিহত হয়ে তা বিপন্মুক্ত হয়।
গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধ প্রথমার্ধেরই কার্বন কপি। আধিপত্য নিয়ে খেলেও হতাশ করে স্পেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা পেয়েছিল সুইডেন। ৬১ মিনিটে দু’গজ দূরে দাঁড়িয়ে আইজ্যাকের সাজানো বল ফাঁকা গোলে ঠেলতে পারেননি মার্কাস বার্গ(Marcus Berg)। আর সেজন্য স্পেন ধন্যবাদ দিতেই পারে তাঁকে। নইলে এক পয়েন্টও এদিন জুটত না তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের।
গোলের লক্ষ্যে রদ্রি, মোরাতা, ওলমোদের তুলে আলকান্তারা(Thiago Alcantara), মোরেনো(Gerrard Moreno),সারাবিয়াদের(Pablo Sarabia) নামালেও সুইডেন রক্ষণের লকগেট শেষ পর্যন্ত ভাঙতে ব্যর্থ হয় এনরিকের ছেলেরা। স্পেনের বিরুদ্ধে সুইডেনের এই ড্র তাদের নৈতিক জয়ই বলা চলে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.