পুনে: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। করোনা ভাইরাস কতটা ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী তা দেশবাসী বুঝেছে এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে। এই দ্বিতীয় ঢেউয়েই অক্সিজেনের হাহাকার দেখেছে দেশ। দেখেছে অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক প্রাণ চলে যাওয়া। তবে এখন করোনা ভাইরাস আগের মত আর ভয়ঙ্কর নেই। তার চোখরাঙানি কিছুটা কমেছে। এর মধ্যেই সামনে এল আরেকটি সুখবর।

পুনের এক সংস্থা এক বিশেষ ধরণের মাস্ক তৈরি করেছে। এই মাস্ক থ্রি (3D)ডি প্রিন্টিং এবং ওষুধের সংমিশ্রমে তৈরি। যে মাস্কের জেরে কাছে আসতেই নিষ্ক্রিয় হবে ভাইরাস। জানা গিয়েছে, থিঙ্ক্র টেকনলোজি (Thincr Technologies) ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের তরফ থেকে এই ভাইরাস প্রতিরোধক মাস্ক তৈরি করা হয়েছে।

ডিএসটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মাস্কে যে লেয়ার ব্যবহার করা হয়েছে তার জন্য করোনা ভাইরাসকে রোখা সম্ভব হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, মাস্কের লেয়ারে সোডিয়াম ওলোফিন সল্ফোনেটের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই আবরণের সঙ্গে ভাইরাসের (Virus) সম্পর্ক হলে তার বাইরের অংশ নষ্ট হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফে এও জানানো হয় যে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও স্থিতিশীল এই লেপ। এবং তা প্রসাধনী সামগ্রীতেও বহুল ব্যবহৃত।

এবিষয়ে থিঙ্ক্র টেকনলোজি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান ডঃ শীতলকুমার জাম্বাদ (Dr Shitalkumar Zambad) জানান, আমরা অনুভব করি সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে মাস্কই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। তার জন্য উন্নতমানের এই মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা। তিনি বলেন, করোনা পর থেকে বেশিরভাগ সময় মানুষ ঘরে বানানো মাস্কই ব্যবহার করছে। যা ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকরীই নয়। তাই ভাইরাসকে নির্মূল করতে থ্রিডি (3D) প্রিন্টিং মাস্ক এনে চমক দিতে চায় এই সংস্থা। ভাইরাস নির্মূল করার ক্ষেত্রে এই মাস্কের ৯৫ শতাংশেরও বেশি ক্ষমতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন যে, দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা উচ্চমানের মাস্ক তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তা থেকেই এমন একটি কাজ করতে বাধ্য হন। এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ায় বেশ খুশি তাঁরা। কারণ সংক্রমণ রুখতে এই মাস্কের জুড়ি মেলা ভার। এই সংস্থার থ্রিডি (3D) প্রিন্টিং মাস্ক বদলে দিতে পারে করোনা পরিস্থিতি, দাবি বিশেষজ্ঞদের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.