শুরু থেকেই চিঠিচাপাটি দেওয়ার কাজ করতেন মুকুল রায়
তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে কোথাও কোনও চিঠি দেওয়ার কাজ, শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়েই হাতেই সঁপে রেখেছিলেন। মধ্যে বিজেপিতে থাকা তিনবছর নয় মাস সময় ছাড়াও, আরও বেশ কয়েকটা মাস বাদ দিলে তৃণমূলে জন্মলগ্ন থেকে কাজটা করে আসছেন মুকুল রায়। মূলত পর্দার আড়াল থেকে কাজ করতেই পছন্দ করেন মুকুল রায়।
দলবদলের কিং মেকার
বাংলার দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে পাইকারি হারে দলবদল ছিল না। কিন্তু ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেই বেশিরভাগ সময়ে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে কংগ্রেস ও বামদলগুলি থেকে বিধায়করা যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ২০১১-র পরে তা ছিল ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পরেই। তাই বাম-কংগ্রেসের তরপে কটাক্ষ করে মুকুল রায়কে দলবদলের কিং মেকারও বলা হয়। সেই মুকুল রায় ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেওয়ার পরেই তা বিজেপির দিকে বইতে শুরু করে। মুকুল রায়ের হাত ধরে বহু তৃণমূল নেতানেত্রী বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের অনেকেই এখন বিজেপির সাংসদ বিধায়ক। এবার তাঁদের অনেকেই মুকুল রায়ের পিছু ধরে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন।
নির্বাচন কমিশনকে সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে
একদিকে যেমন মুকুল রায়ের তৃণমূলে সম্ভাব্য পদ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে তাঁর দায়িত্ব নিয়েও জল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে। শোনা যাচ্ছে তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি তৃণমূলে থাকার সমতেই যে দায়িত্ব তিনি সামলে এসেছেন, সেই নির্বাচন কমিশন সামলানোর দায়িত্ব তাঁর হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি তৃণমূলে থাকার সময়ে মুকুল রায়ের হাতে থাকা ত্রিপুরার দায়িত্বও ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
বিজেপির তুলনায় দায়িত্ব আরও বেশি
বলা ভাল বিজেপিতেও তিনি নির্বাচন কমিশন সামলানোর দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু একা নয়, নির্বাচন কমিশনে গেলে তাঁর সঙ্গে যেতেন বিজেপির অন্য নেতারাও। আর কোনও দিনই তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির কোনও দল যায়নি। অন্য কোনও নেতা সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে পুরো দায়িত্ব মুকুল রায়ের হাতে ছাড়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন। মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, আগে যেমন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করত এখন তেমনই করবে।